ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

রিকশা-সিএনজিতে মাওয়া ঘাটে ছুটছে মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:০৬ পিএম, ১৩ মে ২০২১

আগামীকাল পবিত্র ঈদুল ফিতর। সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের কারণে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঈদকে সামনে রেখে মানুষ বিভিন্নভাবে যাচ্ছেন বাড়িতে। সাধারণত দক্ষিণবঙ্গগামী মানুষ নৌপথে যাতায়াত করলেও লকডাউনের কারণে বন্ধ রয়েছে নৌচলাচল। এ কারণে মানুষ বিকল্প পথ হিসেবে ফেরি দিয়ে পার হচ্ছেন। ফেরিঘাটে বিভিন্নভাবে মানুষ পৌঁছাচ্ছেন।

ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে অটোরিকশা-সিএনজি করে যাচ্ছেন মাওয়া ফেরি ঘাটে। আবার কেউও মোটরসাইকেল রিজার্ভ করে ছুটছেন মাওয়া ঘাটে। গাদাগাদি করে বসানো হচ্ছে অটোরিকশা ও সিএনজিতে। স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই নেই এতে। মাওয়া ফেরিঘাটে যেতে পারলেই কোনো না কোনো মাধ্যমে তারা পদ্মা পার হতে পারবেন আশা ঘরমুখী মানুষের।

অটোরিকশা জনপ্রতি এক থেকে দেড়শত টাকা ও সিএনজিতে জনপ্রতি দেড় থেকে দুইশত টাকা ভাড়া নেয়া হচ্ছে। আর মোটরসাইকেলে জনপ্রতি তিন থেকে চারশক টাকা নেয়া হচ্ছে।

jagonews24

বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সকালে কেরানীগঞ্জের কদমতলী এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

রফিক সরদার নামে শরীয়তপুরের বাসিন্দা বলেন, ‘আমি বেসরকারি একটি কোম্পানিতে চাকরি করি। বুধবার রাতে আমাকে ছুটি দিয়েছে। লঞ্চ বন্ধ। তাই বিকল্প পথ হিসেবে মাওয়া ফেরিঘাটে যাচ্ছি। সেখান থেকে কোনো না কোনো মাধ্যমে পদ্মা নদী পার হবো।’

জসিম উদ্দিন নামে মাদারীপুরের বাসিন্দা বলেন, ‘ঢাকায় ছোটখাট একটা ব্যবসা করি আমি। ঈদ পরিবারের সাথে করবো তাই বাসার দিকে রওয়ানা দিয়েছি। মাওয়া ঘাটে ফেরি পাওয়া যায় শুনছি। ফেরি পার হতে পারলে বাসায় যেতে সমস্যা হবে না।’

jagonews24

কেরানীগঞ্জের কদমতলীর অটোরিকশাচালক জাকির খান বলেন, ‘রাতে করে এখানে মাওয়াগামী বাস চলে। আমরা দিনে এখান থেকে মাওয়া ভাড়ায় যাই। জনপ্রতি এক থেকে দেড়শ টাকা ভাড়া নিই। আবার অনেকে রিজার্ভ যায়।’

সিএনজিচালক লিটন হাওলাদার বলেন, ‘কেরানীগঞ্জের কদমতলী থেকে মাওয়া ঘাটে আমরা ভাড়া যাই। জনপ্রতি দেড় থেকে দুইশ টাকা ভাড়া নেই। যাত্রীর চাপও অনেক রয়েছে। এবার লকডাউনে ভালোই ভাড়া মেরেছি।’

ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালান আলামিন খন্দকার। তিনি বলেন, ‘কদমতলী থেকে মাওয়া ঘাটে আমরা রিজার্ভে যাই। জনপ্রতি তিন থেকে চারশ টাকা নিই। যাত্রীর চাপ রয়েছে অনেক।’

জেএ/এমআরআর/এমকেএইচ