ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

নারীমুক্তির পুরোধা ব্যক্তিত্ব কবি সুফিয়া কামাল : মালেকা বানু

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:০৪ পিএম, ২০ জুন ২০২১

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বলেছেন, নারীমুক্তি, মানবমুক্তি এবং গণতান্ত্রিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব কবি সুফিয়া কামাল দুই যুগের বেশি সময় আমাদের মাঝে শারীরিকভাবে নেই। কিন্তু তিনি আমাদের সব কর্ম, চিন্তা-ভাবনা, আনন্দ ও সংকটে জড়িয়ে আছেন।

রোববার (২০ জুন) বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্যোগে ভার্চুয়ালি আয়োজিত ১১০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। অনুষ্ঠানের শুরুতে শ্রদ্ধা জানিয়ে সংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ইফফাত আরা দেওয়ান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু। ‘সুফিয়া কামাল ও বাংলাদেশের নারীবাদী আন্দোলন’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ।

অনুষ্ঠানে কবি সুফিয়া কামাল সম্মাননা-২০২০ (মরণোত্তর) প্রদান করা হয় সাংবাদিক, শিক্ষক, রাজনীতিবিদ ও আন্দোলনকর্মী নূরজাহান মুরশিদকে এবং কবি সুফিয়া কামাল সম্মাননা-২০২১ প্রদান করা হয় জনকল্যাণমূলক সংগঠন কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টকে।

jagonews24

স্বাগত বক্তব্যে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, সমাজ বিকাশের বহুমাত্রিক কর্মকাণ্ডের নেতৃত্বদানকারী এবং বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও আজীবন সভাপতি কবি সুফিয়া কামালের আজ ১১০তম জন্মবার্ষিকী। সংগঠনের দেড় লাখ সদস্যের পক্ষ থেকে আজ তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। মানবমুক্তির এই সাধক, গণতন্ত্র ও সাম্প্রদায়িকতার লড়াইয়ে অকুতোভয় এই সৈনিক সমাজের সকল ধরনের অনাচার, অন্যায্যতা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী, উচ্চকণ্ঠ হিসেবে আজীবন নারী-পুরুষের সমতা, নারীর মর্যাদার জন্য লড়াই করে গেছেন।

‘সুফিয়া কামাল ও বাংলাদেশের নারীবাদী আন্দোলন’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ।

তিনি বলেন, আমাদের জাতির এক আশার নাম কবি সুফিয়া কামাল। তিনি জন্মে ছিলেন অবরুদ্ধ পরিবেশে। আজ থেকে ৭০-৮০ বছর আগে তিনি যেভাবে নারীর মুক্তির কথা ভেবেছেন, মানুষকে সংগঠিত করেছেন তা ভাবলেও বিস্মিত হতে হয়। আজ নারীবাদের যে তাত্ত্বিক কাঠামো, তা সুফিয়া কামালের সময়ে ছিল না অথচ তিনি সমাজের বিকাশের চেয়ে নারীর বিকাশকে বড় করে দেখেছেন।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, বিংশ শতাব্দীর পর নানাভাবে নারী আন্দোলন প্রকাশ পেয়েছে। জেন্ডার আজ সামাজিক দর্শনের একটা বিষয় হয়েছে। ব্যাপক সামাজিক উপজীব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। নারীবাদী আন্দোলনের ইস্যু আজ নানাভাবে বিস্তৃত। ১৯৭০ সালের ৪ এপ্রিল কবি সুফিয়া কামালের নেতৃত্বে মহিলা পরিষদ গড়ে ওঠার পর যে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় আজও তা চলমান।

অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক উম্মে সালমা বেগম।

এইচএস/এআরএ/এমকেএইচ