ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

গতি নেই বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন কাজে

প্রকাশিত: ০৩:১১ এএম, ১৯ নভেম্বর ২০১৪

বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, সঞ্চালন লাইন, বিতরণ লাইন কিংবা উপকেন্দ্র স্থাপন সব কাজই চলছে অত্যন্ত ঢিমেতালে। এসব কাজের কোনোটিতে অর্থছাড় হলেও তা খরচ করা যায়নি। কোনোটি মাত্র শুরু হয়েছে। কোনোটির টাকা এখনও পাওয়া যায়নি। গত চার মাসের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রথম চার মাস শেষ হয়েছে। তবু অনেক প্রকল্পে এখনও সরকারি অর্থ ছাড় হয়নি। আবার যেগুলোর জন্য অর্থ পাওয়া গেছে সেগুলো কর্মকর্তারা ব্যয় করতে পারেননি। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় বিদ্যুৎ বিভাগের ৬৪টি প্রকল্পের কাজ চলছে। এর মধ্যে ২৮টি প্রকল্পের কাজই শুরু করা যায়নি। ১০ ভাগের নিচে কাজ হয়েছে সাতটি প্রকল্পে। একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজও নির্দিষ্ট লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি।বিদ্যুৎ খাতের কাজে গতি নেই

টাকা ছাড় হলেও বিবিয়ানা ৪০০ মেগাওয়াটের তিন নম্বর প্রকল্পটিতে এক টাকাও খরচ করতে পারেনি বিদ্যুৎ বিভাগ। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য সাত কোটি টাকা ছাড় হয়েছে; কিন্তু এখন পর্যন্ত এক টাকাও খরচ করতে পারেনি তারা।শাহজিবাজার ৩৫ মেগাওয়াটের দুটি কেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন হলেও কোনো টাকা ছাড় হয়নি। ফলে কাজও হয়নি। একই অবস্থা বাঘাবাড়ী ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঘোড়াশাল ৩৬৫ মেগাওয়াট এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রে।

শাহজিবাজার ৩৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য মাত্র জমি উন্নয়নের কাজ হয়েছে। ইতিমধ্যে পাঁচ কোটি টাকা ছাড় হয়েছে। যে টাকা ছাড় হয়েছে তার এক টাকাও খরচ করতে পারেনি গত চার মাসে।বৃহত্তর চট্টগ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্পের কাজ হয়েছে মাত্র দুই দশমিক ৬৮ ভাগ। খুলনা ও কুমিল্লায় প্রিপেইড মিটার লাগানোর কথা থাকলেও তা হয়নি। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর ও রাজশাহীতে পল্লী বিদ্যুতের কার্যক্রম বাড়ানোর প্রকল্পেও কাজ হয়নি। কথা ছিল, বঙ্গভবন, গণভবন এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ১১ কেভি সুইচিং স্টেশন নির্মাণের; কিন্তু তাও হয়নি। আবার বড়পুকুরিয়া ২৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের জন্য এক টাকা ছাড় না হলেও বলা হচ্ছে ২০ শতাংশ কাজ শেষ।

সিটি করপোরেশনগুলোর রাস্তায় সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন করা প্রকল্পের মাত্র চার শতাংশ কাজ হয়েছে। কিন্তু করার কথা ছিল ২৬ শতাংশ। এই কাজ করার জন্য এক কোটি ২৫ লাখ টাকা ছাড়ও হয়েছে; কিন্তু কাজ হয়নি।যদিও কাগজপত্রে দাবি করা হচ্ছে, অক্টোবর পর্যন্ত প্রকল্পগুলোর মোট ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ২৫ দশমিক ৬৪ ভাগ।দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়া ঠিকমতো হয় নাবলে প্রকল্প বাস্তবায়ন পিছিয়ে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। কিছু কাজের জন্য বারবার দরপত্র আহ্বান করতে হচ্ছে। এতে নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করা যাচ্ছে না। খরচও যাচ্ছে বেড়ে।

সম্প্রতি এডিপি বাস্তবায়ন নিয়ে সচিবালয়ে বিদ্যুৎ বিভাগে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনার সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ কাজের অগ্রগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বলে জানা গেছে। যিনি নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে পারবেন না, তাকে বদলি করা হবে বলেও তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। সূত্র : সমকাল