ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

দেশব্যাপী শব্দ পরিমাপ বিষয়ক জরিপ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:৪০ পিএম, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে দেশের প্রতিটি জেলা শহরে শব্দের মাত্রা পরিমাপের বিষয়ে সমীক্ষা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইকিউএমএস কনসাল্টিং লিমিটেডের সহযোগিতায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) মানিকগঞ্জ জেলা শহর থেকে শুরু হওয়া এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের নেতৃত্ব দেন ক্যাপস প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার।

পরে জেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মানিকগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নুর আলমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ পৌরসভার মেয়র রমজান আলী।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক চিকিৎসক আবু বকর সিদ্দিক, জেলা তথ্য কর্মকর্তা মো. নূর হোসেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন, অক্সফোর্ড স্কুলের প্রধান শিক্ষক বিপ্লব কুমার মন্ডল, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কাজী মাকসুদা ইয়াসমিন, এসকে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আরজু খানম, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা চিকিৎসক মো. কাউসার মিয়া। সভায় জেলা শহরের বিভিন্ন মসজিদের ইমামসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এসময় পৌর মেয়র বলেন, শব্দদূষণকারী গোষ্ঠীকে আগে চিহ্নিত করতে হবে। এক্ষেত্রে গাড়ির চালকদের আগে সচেতন করা উচিত। সবাইকে সচেতন করার জন্য দর্শনীয় স্থানগুলোতে পোস্টারিং করা দরকার।

চিকিৎসক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ আইন রয়েছে, কিন্তু বাস্তবায়ন নেই। এই দূষণের কারণে হৃদযন্ত্রের রোগ, উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ নানা রোগ সৃষ্টি হয়। বাচ্চাদের গেমস খেলার মাধ্যমেও শব্দদূষণ হয়। এতে বধির হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।

চিকিৎসক কাউসার মিয়া বলেন, শব্দদূষণে স্ট্রেস হরমোন, বিষণ্ণতা, ঘুম কম হওয়া, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগের সৃষ্টি হয়। এগুলো থেকে মুক্ত হওয়া অত্যন্ত জরুরি।

কাজী মাকসুদা ইয়াসমিন বলেন, আমাদের নিজেদের সচেতন হওয়া জরুরি। আমাদের পরিবার, কর্মক্ষেত্র, সব জায়গায় শব্দদূষণ থেকে কীভাবে বাঁচা যায় তা নিশ্চিত করা দরকার। এই শব্দদূষণ শিশু থেকে বৃদ্ধ সবারই কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ রাশেদ সরোয়ার বলেন, সবার অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি। একজনের শব্দদূষণে অন্যজনের ক্ষতি হতে দেওয়া যায় না। পরিবেশের যে আইন রয়েছে তার বাস্তবায়ন নেই। এই আইন প্রয়োগেরও ব্যবস্থা করা দরকার।

আইএইচএস/আরএডি/ইএ/জেআইএম