ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

চট্টগ্রামের অক্সিজেন মোড়ের নাম হচ্ছে ‘মাইজভান্ডারী চত্বর’

নিজস্ব প্রতিবেদক | চট্টগ্রাম | প্রকাশিত: ০২:৩২ এএম, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২

চট্টগ্রাম নগরের অক্সিজেন মোড়ের নামকরণ করা হচ্ছে ‘মাইজভান্ডারী চত্বর’। রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) আন্দরকিল্লা পুরাতন নগর ভবনের কে বি আবদুস সাত্তার মিলনায়তনে চসিকের ষষ্ঠ পরিষদের ১৩তম সাধারণ সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এম রেজাউল করিম এই নামকরণের প্রস্তাব দেন। পরে সভায় উপস্থিত সবার সম্মতিক্রমে প্রস্তাবটি পাস হয়।

এছাড়াও সভায় নগরের আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ চত্বর ও দৈনিক আজাদীর সম্পাদক মরহুম অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ চত্বর দৃষ্টিনন্দন করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সভাপতির বক্তব্যে মেয়র রেজাউল করিম বলেন, আগামী দিনের উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে চট্টগ্রামের উন্নয়ন সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়টি আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুধাবন করেছেন বিধায় চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে তিনি সজাগ দৃষ্টি রাখছেন।

এজন্য চসিকের মাধ্যমে যেসব প্রকল্প ও ধারাবাহিক কাজ চলছে সেগুলো আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সম্পন্ন করতে হবে। চসিকের মূলত তিনটি কাজ- নগরের পরিচ্ছন্নতা, আলোকায়ন ও রাস্তাঘাট সংস্কার। এজন্য নগরবাসী চসিককে কর দেন। তাই এই মৌলিক কাজগুলোতে কোনো ধরনের অবহেলা করা চলবে না। যদি অবহেলা হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, জলাবদ্ধতাকে নগরবাসী নগরের প্রধান সমস্যা। এটি সমাধানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব দিয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলো এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে খাল ও নালাসমূহ যেভাবে ভরাট করা হয়েছে তা অপসারণ করতে চসিক বারবার তাগাদা দেওয়ার পরও সমাধান হয়নি।

তারা এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ভরাট হওয়া খাল নালাগুলো পরিষ্কার করবে বলে চূড়ান্ত কথা দেন। আমরা আশা করবো, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা তাদের কথা রাখবেন। যদি তারা ব্যর্থ হন, তাহলে চসিক কোনো অবস্থায় জলজট ও জলাবদ্ধতায় নগরবাসীর ভোগান্তি মেনে নেবে না।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের বিষয়ে মেয়র বলেন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্য নগরকে ছয়টি জোনে বিভক্ত করা হয়েছে এবং ছয়জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জোনপ্রধান ও এলাকার সুপারভাইজার তদারকির মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করবে। এতে কোনো ধরনের অবহেলা দেখা গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মশার উপদ্রবের ভোগান্তি সম্পর্কে রেজাউল করিম বলেন, মশক নিধনের জন্য আলাদা একটি সেল গঠন করা হয়েছে। ওষুধ ছিটানোর কাজটি যথাযথভাবে করা হচ্ছে কি-না তা তদারকির জন্য বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা নিতে হবে।

মেয়র বলেন, নগরের মেগা প্রকল্পের আওতায় ৩৬টি খালের কাজ চলছে। বাকি ২১টি খালের অবস্থান চিহ্নিত ও কি অবস্থায় আছে তা প্রকৌশল বিভাগককে প্রতিবেদন আকারে দিতে হবে। এছাড়াও নগরে যেসব খাল, নালা থেকে মাটি উত্তোলনের কাজ চলছে তাতে প্রয়োজনীয় স্কেভেটর, ড্রাম ট্রাক ও জনবলের অপ্রতুলতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় জনবলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নগরের আলোকায়ন বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এখনো অনেক ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত আলোকায়ন পরিলক্ষিত হচ্ছে না। যেখানে পোল, শেড নেই সেখানে পুরাতন পোল, শেড ব্যবহার করে আলোকায়নের ব্যবস্থা নিতে হবে।

চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিকসহ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলররা।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ রেলওয়ে সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রফিকুল হাসান, এলজিইডি চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তাসাউর, ফায়ার ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ আলী, বিআরটিএর সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী আতিকুর রহমান ও ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইফতেখার উল্লাহ মামুন প্রমুখ।

মিজানুর রহমান/এমআরএম