ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

চালকদের দাবি শুনতে কমলাপুরে রেলমন্ত্রী, দেখা করতে আসছেন না কেউ

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১১:৩৮ এএম, ১৩ এপ্রিল ২০২২

রেল কর্মচারীদের কর্মবিরতির প্রেক্ষিতে চালকদের দাবিদাওয়া শুনতে কমলাপুর রেলস্টেশনে এসে প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করলেও রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের কোনো প্রতিনিধি দেখা করতে আসেননি।

এ অবস্থায় লোকোমোটিভে গিয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে নিজেদের দাবিদাওয়া তুলে ধরতে আন্দোলনকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক (ডিজি) ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার।

বুধবার সকাল থেকে রেল ধর্মঘট শুরুর হলে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লোকোমোটিভে যান রেলের ডিজি। এসময় তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং রেলওয়ের রানিং স্টাফদের দাবিদাওয়ার বিষয়গুলোর রেলমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান। তবে তার এ আহ্বানে সাড়া দেননি বিক্ষোভকারীরা।

এদিকে কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা ছাড়া রেল কর্মচারীদের ধর্মঘটে নামা ঠিক হয়নি মন্তব্য করে রেলওয়ের ডিজি ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার বলেছেন, পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ধর্মঘট ডাকায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। হুট করে ট্রেন চলাচল বন্ধ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন স্টেশনে আসা সাধারণ যাত্রীরা।

তিনি বলেছেন, রেলমন্ত্রী (নূরুল ইসলাম সুজন) আগামী ১৯ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার সময় নিয়েছেন। তখন রেলওয়ের রানিং স্টাফদের দাবি-দাওয়ার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করবেন মন্ত্রী। আশা করি রেলের সব সমস্যা সমাধান হবে।

চালকদের দাবি শুনতে কমলাপুরে রেলমন্ত্রী, দেখা করতে আসছেন না কেউ

এসময় তিনি ধর্মঘটের কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগ হচ্ছে উল্লেখ করে যত দ্রুত সম্ভব রেল ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে রেলওেয়ে মহাপরিচালক বলেন, রেলচালকদের দাবি শুনতে সকাল সাড়ে নয়টায় কমলাপুর রেল স্টেশনে এসেছেন রেলমন্ত্রী। আপনারা মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করুন। আপনাদের দাবিদাওয়ার কথা মন্ত্রীকে জানান।

তবে রেলওেয়ে মহাপরিচালকের এমন আশ্বাসের পরও বেলা সোয়া ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রেলচালকদের কোনো প্রতিনিধি মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেননি। এসময় সবাইকে স্টেশন থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে লোকোমোটিভে অবস্থান করতে দেখা যায়।

বেতন-ভাতা (মাইলেজ) সংক্রান্ত দাবি মেনে না নেওয়ায় বুধবার ভোর ৬টা থেকে সারাদেশে ধর্মঘট পালন করছেন ট্রেন চালকরা। এতে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

চালকদের দাবি শুনতে কমলাপুরে রেলমন্ত্রী, দেখা করতে আসছেন না কেউ

সকালে রেলওয়ের রানিং স্টাফ (চালক-গার্ড) ও শ্রমিক-কর্মচারী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, অর্থ মন্ত্রণালয় দাবি মেনে না নেওয়ায় চালকরা কমলাপুর রেলস্টেশনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। ট্রেনের লোকো মাস্টার ও রানিং স্টাফ কর্মচারীরাও কর্মবিরতিতে গেছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ কর্মবিরতি চলবে।

জানা গেছে, রেলের চাকা সচল রাখতে একজন চালককে দিনে গড়ে ১৪ থেকে ১৮ ঘণ্টা ট্রেন চালাতে হয়। এজন্য তাদের বাড়তি মজুরি ও পেনশনে ৭৫ শতাংশ টাকা দেওয়া হয়। বেতনের বাইরেও যত মাইল দায়িত্ব পালন করেন এবং অতিরিক্ত সময় কাজ করেন, তার জন্য নির্দিষ্ট হারে ভাতা পেয়ে থাকেন তারা। এটা রেলে ‘মাইলেজ ভাতা’ হিসেবে পরিচিত।

সম্প্রতি রেলের অতিরিক্ত এ সুযোগ-সুবিধা কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে ক্ষুব্ধ হন রেল চালকরা। এর আগে আট ঘণ্টার বেশি কাজ না করার ঘোষণাও দেন। এ কারণে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়ের আশঙ্কাও দেখা দেয়।

এমএমএ/এমকেআর/জেআইএম