র্যাবের ডাটা বেজে ৪০ হাজার অপরাধীর তথ্য
জঙ্গী, চরমপন্থী ও সন্ত্রাসী গ্রেফতার, আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার, অবৈধ ভিওআইপি ব্যাবসা রোধ, ভেজাল বিরোধী অভিযানসহ অপরাধীদের অতি সহজে চিহ্নিতকরন ও গ্রেফতারের লক্ষে র্যাব সদস্যরা ৪০ হাজার অপরাধীর তথ্য তাদের ডাটা বেজ সংরক্ষণ করেছে।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, কোন অপরাধীকে গ্রেফতারের পর তার পরিচয় শনাক্ত ও অতীত অপরাধ রেকর্ড (পিসিআর) জানতেই অনেকটা সময় চলে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধীরা নিজেদের আড়াল করতে মিথ্যা তথ্যও দিয়ে থাকে। মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে বিলম্ব হয়। আবার দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীরা জেল থেকে ছাড়া পেয়ে পুনরায় অপরাধ সংঘটিত করে থাকে। বেশির ভাগ সময়ে তারা স্থান পরিবর্তন করায় তাদেরকে চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়ে।
অপরাধীদের তথ্য সংরক্ষেণের ফলে তথ্যভান্ডারের সহায়তায় যে কোন দুস্কৃতকারীকে সহজেই আইনের আওতায় আনা যাবে।
এছাড়া অপরাধীর পক্ষে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তদন্ত কর্তৃপক্ষকে বিভ্রান্ত করাও সম্ভব হবে না। সম্পূর্ণ ডিজিটাল ফরম্যাটে প্রস্তুত এই তথ্যভান্ডার থেকে কম্পিউটারের মাধ্যমে মুহুর্তের মধ্যে একজন অপরাধীর বিস্তারিত তথ্য জানা সম্ভব। অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে এই তথ্যভান্ডার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এ প্রযুক্তির ফলে একই ব্যক্তির বারবার অপরাধ ঘটানোর প্রবণতাও কমে আসবে। র্যাবের এ তথ্যভান্ডারে প্রত্যেক অপরাধী সম্পর্কে ১৫০ ধরনের তথ্য রয়েছে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধীর আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের চিত্র নেয়া হয়। এতে ছবি, অতীত অপরাধ সংঘটনের সংখ্যা, অপরাধের ধরন, দণ্ড সংক্রান্ত তথ্যও সন্নিবেশ করা হয়েছে। এসব তথ্যের সঙ্গে অপরাধীর নাম, ঠিকানা, পেশা ইত্যাদি তথ্য রাখা হয়েছে। র্যাবের সম্পূর্ণ নিজস্ব সফটওয়্যার ব্যবহার করে এ তথ্য ভান্ডার তৈরি করা হয়েছে।
২০১১ সালে এই ডাটা বেইজের কার্যক্রম শুরুর সাথে সাথে র্যাবের প্রশিক্ষিত অপারেটরগণ ওয়ার্ক ষ্টেশনসহ বাংলাদেশের ৬৭টি কারাগারের মধ্যে ৬৪টি (পার্বত্য জেলা এর ৩টি ব্যতীত) কারাগারে গিয়ে অপরাধীদের ডাটা এন্ট্রি সম্পন্ন করে।
র্যাবের এই ডাটাবেইজ দেশের ভোটার আইডি তথা জাতীয় পরিচয় পত্র ডাটাবেইজে সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাটাবেইজ ক্রিমিনাল ডাটা বেইজের সাথে মিলিয়ে কোন ব্যক্তি অপরাধের সাথে যুক্ত কিনা তা জানা যাবে। -বাসস
জাগোনিউজ২৪.কম/আরএস