ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

আইন মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বান

প্রকাশিত: ০৮:০৮ এএম, ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় বাজেটে আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও সুজনের নির্বাহী সদস্য ড. শাহদীন মালিক।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এ দাবি জানান তিনি। ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও কার্যাকারিতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে করণীয়’ শীর্ষক এ বৈঠকের আয়োজন করে সুজন।

গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শাহদীন মালিক। তিনি বলেন, গত অর্থবছরে উন্নয়ন বাজেটে আইন বিচার মন্ত্রণালয়েল বরাদ্দ ছিল ৩২৯ কোটি টাকা। আপরদিকে মৎস্য ও পশু মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন বাজেটে বরাদ্দ ছিল ৭৯৭ কোটি টাকা। আইন ও বিচারের উন্নয়নের চেয়ে দেশে মাছ ও পশুর উন্নয়নের জন্য প্রায় আড়াই গুণ বেশি খরচ হচ্ছে।

মগবাজার-মালিবাগ ফ্লাইওভার নির্মাণে ব্যয় বৃদ্ধি প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, রাজধানীর মগবাজার-মালিবাগ ফ্লাইওভারের কিছু বাড়তি কাজ করার জন্য অতিরিক্ত ৪৩০ কোটি টাকার বর্ধিত ব্যয় অনুমোদিত হয়েছে। ১ কিলোমিটার বর্ধিত ফ্লাইওভারের খরচ সারা বছরের আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের সব উন্নয়ন কাজের বরাদ্দের চেয়ে ঢের বেশি।

নির্বাচন কমিশন তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনে ব্যর্থ, দুদক সরকারি দলের দুর্নীতি দেখতে পায় না, সংসদ আছে তবে তার কার্যকর পদক্ষেপ নেই বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

দেশে আইনের শাসন না থাকলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা জনগণের কল্যাণ আনতে পারে না বলেও নিজের মত তুলে ধরেন এই সংবিধান বিশেষজ্ঞ।

বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, যে মুহূর্তে আমরা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলছি সেই মুহূর্তে এ দেশে স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকারটুকু নেই।

বর্তমান বিচার ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনদরকার জানিয়ে বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘যে বিচার ব্যবস্থা আমাদের দেশে প্রচলিত আছে, সেখানে শুধু ক্ষমতাসীনরা সুবিধা পেয়ে থাকে, আর দুর্বলরা অবহেলিত। তাই বিচার ব্যবস্থার আমূল সংস্কার দরকার।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হাফিজ উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের সঞ্চালনায় গোলটেবিল বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন- সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি আবদুল মতিন, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ, সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার প্রমুখ।

ড. কামাল বলেন, বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারলে দেশের সাধারন মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে না। দেশের সর্বোচ্চ বিচার বিভাগীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিচারক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে দলীয়করণের মাধ্যমে। কোনো দল নির্বাচনে তিনশ আসন পেয়ে থাকলেও কোনো অযোগ্য লোককে নিয়োগ দিতে পারে না।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.)সাখওয়াত হোসেন বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থার সাথে বিচার ব্যবস্থা ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

পুলিশের বিরুদ্ধে বারবার হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, যে পুলিশের কাছে মানুষ আইনের আশ্রয় নেয়, তারা আজ মানুষ পোড়ানোর মতো অপরাধ করছে।
 
এএস/এনএফ/এবিএস/এমএস