একনেকে আট উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন

মোবারকপুর তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খননসহ আটটি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পগুলোর অনুমোদন করেছে সরকার। এতে সরকারের মোট ব্যয় হবে ২ হাজার ৮৬৫ কোটি ৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১ হাজার ৫৩৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ১ হাজার ৩২৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি-একনেক সভায় এসব প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে আছে- পানি ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্প, এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ৮১৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা; গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পাচঁপীর বাজার চিলমারী উপজেলা সদর দফতরের সঙ্গে সংযোগকারী সড়কে তিস্তা নদীর উপর ১ হাজার ৪৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ৭৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা; জাতীয় প্রাণী সম্পদ ও পোল্ট্রি ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট এবং রোগ অনুসন্ধান গবেষণাগার স্থাপন প্রকল্প, এর ব্যয় ৪২ কোটি ৮০ লাখ টাকা; আন্তঃজেলা সীমান্ত সড়ক নির্মাণ : মযমনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলা অংশ প্রকল্প, এর ব্যয় ৪৫৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা; ঢাকার বেইলি রোডে পার্বত্য চট্রগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প, এর ব্যয় ১০২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা; মোবারকপুর তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্প, এর ব্যয় ৮৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা; নরসিংদী বিসিক শিল্পনগরী সম্প্রসারণ প্রকল্প, এর ব্যয় ৭৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা; ভোলা জেলার দৌলতখান এবং বোরহানউদ্দিন উপজেলায় মেঘনা নদীর ভাঙন হতে পোল্ডার/৫৬/৫৭ রক্ষা প্রকল্প, এর ব্যয় ৫৫১ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

তেল গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে মোবারকপুরে কূপ খননের কাজ শুরু হয়। সাড়ে ৮ ইঞ্চি হোল সেকশনে খনন কালে ৪ হাজার ১৭৫ মিটার গভীরতায় হঠাৎ করে ড্রিল পাইপ স্টাক (আটকে) হয়ে যায়। এ বিষয়ে অনেক চেষ্টা সত্বেও সেই পাইপের পুরোপুরি উঠিয়ে আনা যায়নি। এর মধ্যে ৩ হাজার ৬২০ মিটার উঠিয়ে আনা গেলেও ৫৫৫ মিটার এখনো মাটির নিচে রয়ে গেছে। এই অবস্থায় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রায় কূপ খনন করতে হলে বিকল্প উপায়ে যেতে হবে। নতুন প্রস্তাবনায় সাইড ট্রেকিং এর মাধ্যমে ৪৭০০ মিটার গভীর কূপ খনন করতে চায় পেট্রোবাংলা। কিন্তু মূল প্রকল্প প্রস্তাবনায় (ডিপিপি) সাইড ড্রিলিং সংক্রান্ত কোনো কম্পোনেন্ট নেই। ইতোমধ্যে প্রকল্পে দ্বিতীয় সংশোধনীর মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরো ৬ মাস বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। একই সঙ্গে প্রকল্পের মোট ব্যয় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা কমানো হয়েছে।

এসএ/একে/এমএস