ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

পিলখানা ট্রাজেডি: বিজিবির দোয়া ও মিলাদের আয়োজন

প্রকাশিত: ০৮:৩৪ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে নিহত সদস্যদের শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হবে আজ (বৃহস্পতিবার)। ২০০৯ সালের এই তারিখে তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি) সদর দফতর পিলখানায় সংঘটিত বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে শহীদ ব্যক্তিবর্গের স্মরণে এই আয়োজন।

কর্মসূচি অনুযায়ী শহীদ ব্যক্তিবর্গের রুহের মাগফিরাতের উদ্দেশ্যে পিলখানাসহ বিজিবির সকল রিজিয়ন, সেক্টর, প্রতিষ্ঠান ও ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। বিজিবির সকল মসজিদে এবং বিওপি পর্যায়ে এ কর্মসূচি পালিত হবে। এছাড়া থাকছে বাদ ফজর খতমে কোরআন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় বনানী সামরিক কবরস্থানে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধানগণ (সম্মিলিতভাবে), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং বিজিবি মহাপরিচালক (একত্রে) শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

আগামী শুক্রবার বিজিবির নিজস্ব কর্মসূচি পালিত হবে। এই দিন বাদ আসর পিলখানাস্থ বীর উত্তম ফজলুর রহমান খন্দকার মিলনায়তনে শহীদ ব্যক্তিবর্গের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।

উক্ত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বিজিবি মহাপরিচালক, শহীদ ব্যক্তিবর্গের নিকটাত্মীয়গণ, পিলখানায় কর্মরত সকল অফিসার, জেসিও, অন্যান্য পদবির সৈনিক এবং বেসামরিক কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করবেন।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দফতর পিলখানার দরবার হলে বিদ্রোহী বিডিআর সৈনিকরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করে এবং তাদের পরিবারকে জিম্মি করে ফেলে।

চারটি প্রধান প্রবেশপথ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আশেপাশের এলাকায় গুলি ছুঁড়তে থাকে। অবতারণা ঘটে বীভৎস দৃশ্যের। সকাল ৯টা ২৭ মিনিটে শুরু হওয়া ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পর বিদ্রোহের অবসান ঘটে।

একাত্তরে স্বাধীনতার যুদ্ধের ৯ মাসে তিন বাহিনীর ৫১ জন সামরিক কর্মকর্তা শহীদ হয়েছিলেন। কিন্তু ২০০৯ সালে ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি মাত্র দু’দিনের বিদ্রোহে পিলখানায় ৫৭ জন কর্মরত সেনা কর্মকর্তা, একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, দুজন সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, ৯ বিডিআর জওয়ান, পিলখানার বাইরে সেনাবাহিনীর এক সিপাহী, এক পুলিশ কনস্টেবল ও তিন পথচারী নিহত হয়েছিলেন।

এঘটনার পর ঐতিহ্যবাহী এ বাহিনীটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আইনের সংশোধন এনে পরিবর্তন করা হয়েছে মনোগ্রাম ও পোশাকেরও। এরই মধ্যে বিদ্রোহের মামলার ৫৭টি ইউনিটের বিচারের সম্পন্ন হওয়ার পর হত্যা মামলারও বিচার সম্পন্ন হয়েছে। এখন চলছে বিস্ফোরক মামলার বিচার।

জেইউ/বিএ

আরও পড়ুন