‘কারখানায় শব্দ দূষণের প্রভাব পড়ছে শ্রমিকদের ওপর’
রপ্তানিমুখীসহ সব শিল্প ও অর্থনীতির মূল চালনা শক্তি শ্রমিকরা। অথচ অধিকাংশ ক্ষেত্রে নির্ধারিত কাজ যতটা গুরুত্ব পায় তার চেয়ে বেশি অবহেলায় শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য। শিল্প কারখানায় শ্রমিকরা কাজ করতে গিয়ে যন্ত্রপাতি থেকে কম-বেশি শব্দ উৎপন্ন হয়। আর এ শব্দ দূষণের শিকার প্রত্যক্ষভাবে শ্রমিকদের ওপর প্রভাব পড়ে বলে মনে করেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) পরিবেশ অধিদপ্তরের শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় শিল্প কলকারখানার অংশীজনদের সঙ্গে সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে এবং ইকিউএমএস কনসালটিং লিমিটেড ও বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যায়ণ কেন্দ্রের (ক্যাপস) সহযোগিতায় এ মতবিনিময় সভা হয়।
সভায় বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার স্বাগত বক্তব্য দেন। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট তথ্য-চিত্র উপস্থাপন করেন ক্যাপসের গবেষক মারজিয়াত রহমান।
আরও পড়ুন>> ৯৯ ভাগ শিল্প-কারখানায় নেই পরিবেশগত ছাড়পত্র
সভায় অবনী নিটওয়্যার লিমিটেডের হেড অব অপারেশন জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, ঢাকার সহকারী মহাপরিদর্শক (সেইফটি) মো. তাইমুম ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বেবিলন গ্রুপের পরিচালক এমদাদুল ইসলাম।
ক্যাপসের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, কলকারখানার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, জেনারেটরের থেকে সৃষ্ট শব্দ কর্মীদের শ্রবণশক্তি হ্রাস করছে। ফলে চিকিৎসা খরচ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে আমাদের অর্থনীতির চাকা ঘুরে যাবে। যেহেতু রপ্তানিমুখীসহ সব শিল্প ও অর্থনীতির মূল চালনা শক্তি শ্রমিকরা।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, ঢাকার সহকারী মহাপরিদর্শক (সেইফটি) মো. তাইমুম ইসলাম বলেন, সচেতনতা নিজের মধ্যে থেকে আসতে হবে, কেউ কাউকে জোর করে সচেতন করতে পারবে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, নির্ধারিত কাজ যতটা গুরুত্ব পায় তার চেয়ে বেশি অবহেলা পায় শ্রমিকদের পেশাগত স্বাস্থ্য। নিজের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে হলেও আমাদের সচেতন হতে হবে।
আরও পড়ুন>>> ‘শব্দত্রাস’ বিষয়ে সচেতন করছে দুরন্ত বাইসাইকেল
বেবিলন গ্রুপের পরিচালক এমদাদুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সময়ে শিল্প কারখানার কর্মীদের বেশিরভাগই কমপক্ষে প্রাইমারি শিক্ষা নিয়েছে। প্রাথমিক পর্যায় থেকেই প্রত্যেকটি ক্লাসে শব্দ দূষণের বিষয়টি আওতাভুক্ত করতে হবে। এর মাধ্যমে শিশু বয়স থেকেই শিক্ষার্থীরা শব্দদূষণ সম্পর্কে নিজেরা সচেতন হবে এবং পরিবারকে সচেতন করবে। একই সঙ্গে শব্দদূষণ নিয়ে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রমের আয়োজন করতে হবে।
এমএইচএম/এমআইএইচএস/জিকেএস