ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

রাজশাহী অঞ্চলে সন্ত্রাসে অর্থায়ন ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি

প্রকাশিত: ০৫:২১ পিএম, ০৪ ডিসেম্বর ২০১৪

রাজশাহী সন্ত্রাস প্রবন এলাকা। অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন আইনে নিষিদ্ধ কয়েকটি সংগঠন এই অঞ্চলের। তাই এই অঞ্চলে সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রবনতাও অনেক বেশি। সন্ত্রাস থাকলে অর্থায়ন ঝুঁকিও থাকবে। তাই ব্যাংকারদের আরো সর্তক হতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক এই অঞ্চলে ব্যাংকগুলোর সুশাসনের ঘাটতি আছে। গ্রাহক তথ্য ঠিক মতো রাখা হচ্ছে না।

এসব তথ্য ওঠে এসেছে অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন বিষয়ক এক উপস্থাপনায়। উপস্থাপনাটি তৈরি করেছে বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ-বিএফআইইউ। অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন শীর্ষক একটি আঞ্চলিক সম্মেলনে সংস্থাটির পক্ষে এটি উপস্থাপন করেন এর উপ মহাব্যবস্থাপক একেএম এহসান। রাজশাহীর নানকিং দরবার হলে বৃহস্পতিবার এই সম্মেলনের আয়োজন করে বিএফআইইউ।

সংস্থার উপ প্রধান ম. মাহফুজুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক জিন্নাতুল বাকেয়া এতে বক্তব্য রাখেন। প্রধান অতিথি ছিলেন গভর্নর ড. আতিউর রহমান। এতে বিভিন্ন ব্যাংকের রাজশাহী অঞ্চলের অর্থ পাচার বিভাগের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

বিএফআইইউ এর পক্ষে বলা হয়, রাজশাহীতে ২০১১ সালে সন্ত্রাসে অর্থায়ন ঘটনার প্রমাণ মেলে ২টি, ২০১২ সালে ৩টি, ২০১৩ সালে ৫টি। কিন্তু ২০১৪ সালে ৩টি। এটি কোন ভাবেই মানা যাবে না, অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের ঘটনা কমছে।

এহসান বলেন, ব্যাংকগুলোর সুশাসনের ঘাটতি আছে বলে এই চিত্র। গ্রাহকের তথ্য ঠিক মতো রাখা হচ্ছে না। আমাদের পরিদর্শকরা গিয়ে এর প্রমাণ পাচ্ছেন।  আতিউর রহমান বলেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি বলে আজ এখানে এসেছি।

এ মাহফুজুর রহমান বলেন, অর্থ পাচারের জন্য জরিমানা করা হচ্ছে। আরো জরিমানার প্রস্তাব গভর্নরের বিবেচনার জন্য রয়েছে। এমনকি একটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে। তাই সর্তক থাকুন।

তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, এখানে যারা আছেন, তারা কেউ কি বলতে পারবেন, আপনাদের একটি শাখাতে শতভাগ গ্রাহক তথ্য নিয়ে হিসাব খোলা হয়েছে। পারবে না। আজ আমরা দুঃখ নিয়ে গেলেও। এর ফল ভালো হবে না। আপনারে শাস্তি পেতে হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, যে ব্যাংক আপনাকে সামাজিক সম্মান দিয়েছে, তাকে জরিমানার মুখে নিয়ে যাবেন না। সন্ত্রাসী কাজে সহায়তা করবেন না।