ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

পাওনা টাকার জেরে রিকশাচালককে শিকল বেঁধে নির্যাতন

নিজস্ব প্রতিবেদক | চট্টগ্রাম | প্রকাশিত: ০৭:৪৫ পিএম, ০৪ মার্চ ২০২৩

চট্টগ্রামে পাওনা টাকার জেরে মোহাম্মদ ফারুক নামে এক রিকশাচালককে শিকল বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৪ মার্চ) সকাল সোয়া ১০টার দিকে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার সিনেমা প্যালেস শিব মন্দিরের পাশের গলি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- চট্টগ্রামের রাউজানের ডাবুয়া গ্রামের মল্লিক বাড়ির রনধির মল্লিকের ছেলে মনি মল্লিক (২২), তার ভাই রাজীব মল্লিক (৩০) এবং কোতোয়ালি থানার হাজারী গলির মৃত যুবরাজ সিংহ হাজারীর ছেলে প্রান্ত সিংহ হাজারী (২২)।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবীর বিষয়টি রিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী রিকশাচালক ফারুকের বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফে। ফারুক রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। সিনেমা প্যালেস এলাকার একটি চা দোকানে মনি মল্লিকের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাদে মনি মল্লিক তাকে ১০ হাজার টাকার মাছ কিনে সিনেমা প্যালেস এলাকায় ভ্যান গাড়ি করে ওই মাছ বিক্রি করতে দেন। মাছ বিক্রি শেষে বাবার অসুস্থতার খবরে ফারুক ভ্যানটি স্থানীয় একটি গ্যারেজে রেখে টেকনাফ চলে যান। বাবার চিকিৎসা শেষে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে ফিরে আসেন ফারুক।

আরও পড়ুন>> ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরাসহ ৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

পরদিন শুক্রবার (৩ মার্চ) ফারুককে টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য চাপ দেন মনি মল্লিক। পাওনা টাকার বিষয়টি সমাধানের কথা বলে ফারুককে বাকলিয়ার বাস্তুহারা এলাকা থেকে হাজারী গলিতে ডেকে নেন মনি মল্লিক ও প্রান্ত সিংহ হাজারী। রাত ৮টার দিকে ফারুক তার বাবার অসুস্থতার বিষয়টি জানিয়ে সপ্তাহে এক হাজার টাকা করে পাওনা পরিশাধ করবে বলে জানান। কিন্তু মনি মল্লিক তা না মেলে একসঙ্গে টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দেন। এতে ফারুক অপারগতা প্রকাশ করলে মনি মল্লিক ও প্রান্ত সিংহ হাজারী তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে তালাবদ্ধ করে রাখেন। এসময় রাজীব মল্লিক এসে ফারুককে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা ৯৯৯-এ কল দিলে পুলিশ এসে ফারুককে উদ্ধারসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেন।

আরও পড়ুন>> ছাত্রকে পিটিয়ে কারাগারে মাদরাসার শিক্ষক

ওসি জাহিদুল কবীর বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদি হয়ে থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন। তার এজাহারটি মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়েছে। ওই মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

ইকবাল হোসেন/ইএ/এমএস