ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

আজ থেকে নৌকা-ধানের শীষের লড়াই

প্রকাশিত: ০৭:১৬ পিএম, ০২ মার্চ ২০১৬

আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে নৌকা-ধানের শীষসহ বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে প্রচার-প্রচরণা চালাতে পারবেন প্রথম ধাপে অংশ নেয়া ইউপি নির্বাচন চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য প্রার্থীরা। ২ মার্চ প্রথম ধাপের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর আজ প্রতীক বরাদ্দ দেবে ইসি । সে ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান পদে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীক দেয়া হবে। আর মেম্বার ও সংরক্ষিত মহিলাদের আগের মতোই প্রতীক বরাদ্দ  দেয়া হবে।

নির্বাচন উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে করবে ইসি। ভোটারদের নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে আজ বৈঠকটি হবে। বৈঠকটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) মিলনায়তনে সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে এ বৈঠক।

বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, প্রথম ধাপে ৬৩৪টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রায় ৭ হাজার ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এক্ষেত্রে নির্বাচনের দিন সাধারণ ভোট কেন্দ্রে ১৭ জন করে পুলিশ ও আনসারের ১৯ জন করে ফোর্স মোতায়েনের পরিকল্পনা নিয়েছে ইসি। আর ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ফোর্স রাখার পরিকল্পনা রয়েছে ১৯ জন করে। অর্থাৎ নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রেই ফোর্স থাকছে এক লাখ ২০ হাজারের মতো।

তবে এ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে কার্যপত্রে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। এতে বলা হয়েছে, ২০১১ সালের ইউপি নির্বাচনের সময় র‌্যাব, আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন, বিজিবি, কোস্টগার্ড এবং সীমিত পরিসরে সেনাবাহিনী ও নৌ-বাহিনীর মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রাখা হয়েছিল।

এবার পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটেলিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতি ইউনিয়নে ১টি করে ৬৩৯টি মোবাইল ফোর্স, প্রতিতিন ইউপির জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স রাখার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে প্রতি উপজেলায় ২টি করে র‌্যাবের মোবাইল টিম ও ১টি স্ট্রাইকিং টিম এবং প্রতি উপজেলায় ২ প্লাটুন বিজিবি মোবাইল ও ১ প্লাটুন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে রাখার কথা ভাবা হচ্ছে।

আবার উপকূলীয় অঞ্চলে প্রতি উপজেলার জন্য কোস্টগার্ডের ২ প্লাটুন মোবাইল ফোর্স ও এক প্লাটুন স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকছে। যারা ভোটের দু’দিন আগে থেকে পরে একদিন মোট চারদিনের জন্য নিয়োজিত থাকবে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তারিখ পাঁচ বছর পূর্ণ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার বিধান রয়েছে।

এ হিসাবে গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের জুনের মধ্যে সবগুলো ইউপির নির্বাচন শেষ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এইচএস/বিএ