চাঁদা না দেয়ায় জোনায়েদকে খুন করে আইয়ুব বাচ্চু গ্রুপ
মিরপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত বাহিনী এখন দুটি ধারায় বিভক্ত। এর একটি হচ্ছে আইয়ুব বাচ্চু গ্রুপ। চাঁদাবাজি, হত্যাসহ বিভিন্ন নৃশংস অপরাধের সঙ্গে জড়িত এ গ্রুপটি। চাঁদার দাবিতে গত ২ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) মিরপুরের হোটেল ব্যবসায়ী জুনায়েদকে খুন করে এ গ্রুপের সদস্যরা। মঙ্গলবার র্যাব-৪ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন উপ-অধিনায়ক মেজর আবু সাঈদ খান।
এর আগে সোমবার রাতে রাজধানীর দারুস সালাম থানাধীন গাবতলীস্থ বিআইডব্লিউটিএ এর ওয়াটার বাস ঘাট এলাকা থেকে জোনায়েদ হত্যায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন, শেখ মৃদুল ওরফে বাবু ওরফে মির্জা (৩৪), মো. ফয়সাল আহমেদ মিঠু (২৭) ও মো. নুরুল ইসলাম জুয়েল (২৮)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭.৬৫ মি.মি. একটি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগজিন ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৪ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আবু সাঈদ খান বলেন, বাচ্চু গ্রুপের আইয়ুব বাচ্চু, শিশির ও মির্জা নামে বিদেশ থেকে বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে ফোন করে চাঁদা দাবি করত এবং চাদা না দিলে হত্যার হুমকি দিত। মিরপুরের হোটেল ব্যবসায়ী জোনায়েদকে একই কায়দা বিদেশ থেকে চাঁদার দাবিতে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। এরপরেই জোনায়েদ ২ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হন।
এ ঘটনায় দারুস সালাম থানায় মামলাও হয় (মামলা নং ৬)। পরে ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব-৪। এরই অংশ হিসেবে অভিযান চালিয়ে বাচ্চু বাহিনীর তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব আরো জানান, আটক তিনজন গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। তাদের ফোন নম্বার পর্যালোচনা করে জড়িত থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হয়। জোনায়েদ ছাড়াও আরো কয়েকজনকে আইয়ুব বাচ্চুর নির্দেশে খুন করে। প্রায় ৩ বছর আগে জোনায়েদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে বাসায় গুলিও করেছিল গ্রেফতার মৃদুল।
বাচ্চুর নির্দেশনাতেই মৃদুলসহ তিনজন গুদারাঘাট এলাকায় বসে পরিকল্পনা করে। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি মৃদুল মিঠু জুয়েল ও সোহেলসহ আরো কয়েক জন জোনায়েদ হোটেল থেকে বের হওয়ার বের হলে কৌশলে ডেকে নিয়ে গুম করে। এরপর চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় জোনায়েদকে।
পরে রাত সাড়ে তিনটার দিকে টোলারবাগ মসজিদের সামনে মরদেহ ফেলে চলে যায় বাচ্চু বাহিনী। আটকরা সবাই জড়িত থাকার দায় স্বীকার করেছে। জড়িত অন্যদের আটক করতে চেষ্টা চলছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
জেইউ/আরএস/এমএস