পরিবেশ রক্ষা করে হাইটেক পার্ক গড়ে তোলার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
পরিবেশ রক্ষা করে হাইটেক পার্ক গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার নিজ কার্যালয়ে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের বোর্ড অব গভর্নরসের প্রথম বৈঠকে এ বিষয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেছেন, প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করে আইসিটি পার্কগুলো গড়ে তুলতে হবে।
এসময় হাইটেক পার্কগুলো প্রতিষ্ঠিত হলে দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশাপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পার্কগুলোতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ হবে এবং রফতানি বৃদ্ধি পাবে।
হাইটেক পার্কগুলোতে উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা দেশেও রয়েছে বলে মতপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরো আশাবাদ ব্যক্ত করেন, দেশের হাইটেক পার্কগুলোতে প্রায় দশ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে এবং সেগুলো পাঁচ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করতে সক্ষম হবে।
বৈঠকে হাইটেক পার্কগুলো স্থাপনের কাজের অগ্রগতি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আরো জানান, কালিয়াকৈরের হাইটেক পার্কটি সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। এজন্য সামিট টেকনোপলিস লিমিটেডের সঙ্গে ২০১৫ সালের ২৮ জুন ২৩৪ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ৩৫৫ একর আয়তনের কালিয়াকৈরের এই পার্কের ২৩২ একরকে পাঁচটি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। ২০১৫ সালের ১৫ অক্টোবর এই পার্কের ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সময়ে বিনিয়োগ বোর্ডের ১২তম বৈঠকে কালিয়াকৈরে তিনশ’ ৫৫ একর জায়গার উপরে হাইটেক পার্কের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সে অনুযায়ী- যশোরে সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক, ঢাকায় জনতা টাওয়ার সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক ও মহাখালী আইটি ভিলেজ, সিলেট ইলেকট্রনিক্স সিটি এবং রাজশাহীতে বরেন্দ্র সিলিকন সিটি স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে।
গোপালগঞ্জ, কুমিল্লা, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, জামালপুর এবং নাটোরে আইটি পার্ক প্রতিষ্ঠার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বুধবারের এ বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শেরিফ, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান, বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দ এ সামাদ, মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
এসএ/এসএইচএস/এবিএস