ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বিদেশগামী শ্রমিকদের ইন্স্যুরেন্স সুবিধা নিশ্চিতের সুপারিশ

প্রকাশিত: ১০:৩৫ এএম, ১০ মার্চ ২০১৬

বিদেশে পাঠানোর আগে সকল কর্মীর ইন্স্যুরেন্স সুবিধা নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এ জন্য বিশেষায়িত বীমা কোম্পানি গঠনের সুপারিশ করা হয়। বিদেশে নারী শ্রমিক পাঠানোর আগে তাদের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা এবং নারীদের শুধু গৃহকর্মী হিসেবে না পাঠিয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অন্যান্য মর্যাদাপূর্ণ পেশার কর্মী হিসেবে পাঠানোর সুপারিশ করেছে কমিটি।    

জাতীয় সংসদ ভবনে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১১তম বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের সভাপতিত্বে  বৈঠকে  কমিটির সদস্য  প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি, মো. শাহাব উদ্দিন, মো. ইসরাফিল আলম, মো. আয়েন উদ্দিন ও মাহজাবীন মোর্শেদ অংশ নেন।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন জাগো নিউজকে বলেন, বাংলাদেশি শ্রমিকরা বিদেশে দুর্ঘটনায় পড়লে অনেক সময় অনুদান পান না। বিদেশেও তারা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পান না। আবার অন্য দেশের শ্রমিকরা আমাদের দেশের চেয়ে বেশি ক্ষতিপূরণ পান। এজন্য বিদেশে পাঠানোর আগে সবাইকে ইন্স্যুরেন্স আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকের একটি সূত্র জানায়, মালয়েশিয়ার শ্রমিক পাঠানোর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং সেখানে কাজের সুবিধা-অসুবিধা পর্যবেক্ষনের জন্য সংসদীয় কমিটি মালয়েশিয়া সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বৈঠকে জনশক্তি পাঠানোর জন্য সম্প্রতি বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়া সরকারের মধ্যে সম্পাদিত জি টু জি প্লাস চুক্তিপত্র উপস্থাপন এবং উক্ত চুক্তিপত্র বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। বৈঠকে জানানো হয় যে, জি টু জি প্লাস চুক্তিটি গত ১৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর জন্য বাংলাদেশ সোর্স কান্ট্রি হিসেবে অন্তভুক্তির বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর ফলে অন্যান্য সোর্স কান্ট্রির ন্যায় বাংলাদেশ থেকে সকল সেক্টরে কর্মী নিয়োগের সুযোগ উন্মুক্ত হয়েছে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী দ্রুতগতিতে শ্রমিকরা যাতে মালয়েশিয়ায় যেতে পারে তার সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করার সুপারিশ করা হয়।

জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণের পরিধি আরো বাড়ানোর জন্য দেশের প্রতিটি উপজেলায় ১টি করে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) নির্মাণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে বৈঠকে জানানো হয়।   

বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিবসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এইচএস/একে/পিআর