ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ইস্যু : কথিত ৫২ দানবক্স উচ্ছেদ

প্রকাশিত: ০৮:৫৩ এএম, ১৫ মার্চ ২০১৬

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রেড এলার্ট জারি রয়েছে। এছাড়া চরম নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগে কার্গো বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ব্রিটিশ সরকার। অথচ এতো কিছুর মধ্যেও বিমানবন্দরে টানানো ছিলো তথাকথিত ৫২টি দানবক্স।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দানবক্স নয়, এইগুলো প্রতারক চক্রের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার কৌশল।
 
তবে গতকাল সোমবার রাতে সিভিল অ্যাভিয়েশন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুফের নির্দেশে বিমাবন্দরের কথিত এসব দানবক্স সরানো হয়েছে। জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়নের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নূর ই আলম সিদ্দিকী।
 
তিনি জানান, সিভিল অ্যাভিয়েশেনের পক্ষ থেকে কথিত এসব দানবক্স সরিয়ে নেয়ার জন্য ও নিরাপত্তা ইস্যুর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে সংশ্লিষ্টদের পত্র দেওয়া হয়। তবে তাতে কেউ সাড়া দেয়নি।  
 
সোমবার রাতে আকস্মিক অভিযানে সিভিল অ্যাভিয়েশেনের ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুফ বিমানবন্দর আর্ম পুলিশের সহযোগিতা চান। তিনি দানবক্সগুলো সরাতে নির্দেশ দেন।

Biman
এরই প্রেক্ষিতে সোমবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে পুরো বিমানবন্দর এলাকা থেকে ৫২টি দানবক্স সরিয়ে নেয়া হয়। আজ (মঙ্গলবার) দুপুর পর্যন্ত দানবক্স উচ্ছেদ অভিযান চলে।
 
যদিও এ নিয়ে কিছু মুসুল্লি দানের বক্স সরানো নিয়ে হট্টগোলের চেষ্টা করেন।তবে তাদের সবাইকে সরিয়ে দিয়ে সবগুলো দানবক্স উচ্ছেদ করা হয় বলে জানান তিনি।
 
বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে আসার সময় এ দৃশ্য দেখে আবু তালেব নামের  এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা  জানান, ৫২টি বাক্সে ৫২টি বিস্ফোরক কৌশলে ঢুকিয়ে পুরো বিমানবন্দর উড়িয়ে দেয়া সম্ভব। আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসব কেন থাকবে। এসব উচ্ছেদ করায় সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটদের স্যালুট জানান তিনি।
 
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের চিঠির জবাব দিয়ে কার্গো পাঠানোর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন। সোমবার কূটনৈতিক চ্যানেলে চিঠিটি হস্তান্তর করা হয়েছে।
 
চিঠিতে তিনি জানান, শাহজালাল বিমানবন্দরে নিরাপত্তাকর্মী ও তাদের সুপারভাইজারদের সক্ষমতা খুব দুর্বল। একইসঙ্গে এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে প্রয়োজনীয় পরামর্শক নিয়োগের পরামর্শ দেন তিনি।
 
এছাড়া বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে দুই দেশের এক সঙ্গে কাজ করার কথাও উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
 
এরই অংশ হিসেবে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বিষয়ে ব্রিটিশ সরকারের মনোনীত ৪টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মঙ্গলবার থেকে আলোচনা শুরু করেছে সরকার।
 
জেইউ/জেএইচ/এমএস