ঘন কুয়াশায় জেঁকে বসেছে শীত
ফাইল ফটো
দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা হ্রাস এবং মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশায় শীত জেঁকে বসেছে। কোন কোন এলাকায় ভোর থেকে সকাল পেরিয়ে দুপুর পর্যন্ত ঢেকে থাকছে কুয়াশার চাদরে। নদী অববাহিকায় মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশার কারণে নৌ ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ঠান্ডার কারণে অনেকে ঘরের বাইরে আসছেন না। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জনজীবন।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, সারাদেশে ঠান্ডা অনুভূত হলেও তাপমাত্রা কমেনি। তাপমাত্রা আগামী ২ থেকে ৩ দিন একই অবস্থায় থাকবে। তবে এ মাসের শেষের দিকে দেশের উপর দিয়ে একটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতর সুত্রে আরও জানা যায়, বুধবার সর্বনিম্ন তামপাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে শীতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মত রাজশাহীতে দরিদ্র ও দুস্থ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। ঘন কুয়াশা ও প্রচন্ড ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গঙ্গা অববাহিকায় চর ও বস্তিতে বসবাসকারী জনগণ প্রচন্ড ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঠান্ডাজনিক রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া সকালে ঘন কুয়াশার কারণে বিভিন্ন রুটে যানবাহন চলাচল হ্রাস পেয়েছে।
পঞ্চগড়ে মৌসূমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। এক বেলা রোদ থাকলেও মেঘের কারণে সূর্যের তাপ গায়ে না লাগায় সারাদিনই হাড়কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। হঠাৎ শুরু হওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাহিল হয়ে পড়েছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালমুখী হচ্ছেন তারা। জেলার সর্বত্র শীত নিবারণের প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। পুুরাতন শীতবস্ত্রের দোকানে শীতার্তদের উপচেপড়া ভীড়।
গত তিন চার দিন ধরে পঞ্চগড়ে চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বিকেল থেকে শুরু হাওয়া কনকনে শীতল হাওয়া চলছে সকাল পর্যন্ত। সকাল ১০ টার আগে সূর্যের মুখ দেখা যাচ্ছে না। সন্ধার পরই শুরু হচ্ছে কুয়াশা। রাত বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশা ঘন হচ্ছে। ভোরের দিকে বৃষ্টির পানির মত ভারী কুয়াশা ঝরছে। উত্তর পশ্চিম কোনের শৈত্যপ্রবাহের কারণে মাঠেঘাটে কাজকর্ম এক রকম বন্ধ হয়ে গেছে। রাস্তা ঘাটগুলো অনেকটা জনমানব শূন্য। শ্রমজীবি ও দরিদ্র শ্রেণীর মানুষরা পড়েছে চরম বেকায়দায়। -বাসস