ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

নিরাপত্তার স্বার্থে জিকা আক্রান্তের পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে

প্রকাশিত: ১২:৩৮ পিএম, ২২ মার্চ ২০১৬

জিকা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান সিদ্দিকি বলেছেন, সামজিক নিরাপত্তার স্বার্থে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে জেলা সিভিল সার্জনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘জিকা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত একজন মানুষও মারা যায়নি। এ ভাইরাস মানুষের পাঁচটি অর্গানের একটিও আক্রান্ত করে না। এমনকি এ রোগে আক্রান্তকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয় না।

সিভিল সার্জন বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) দুই বছর আগের একটি রক্তের নমুনায় জিকা ভাইরাসের অস্তিত্ব পেয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ২০১৪ সালে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশের তিনটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গণহারে পরীক্ষা চালানো হয়, তখন অনেকগুলো নমুনায় ডেঙ্গু শনাক্ত হয়নি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশে সেই সব নমুনাগুলো পুনরায় পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয়। চমেক হাসপাতালের এই রকম একটি নমুনায় জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয়।

ডব্লিউএইচও জিকা ভাইরাস শনাক্ত করার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং তার সাথে সম্পৃক্ত মানুষ জনের পুনরায় রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, এই সব নমুনা ঢাকায় ‘রোগ তত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য। স্বাস্থ্য অধিদফতরের ৫ সদস্যের একটি টিম গত ১৪ মার্চ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত চট্টগ্রামে এসে ওই ব্যক্তি ও তার সাথে সম্পৃক্ত মানুষদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেছে বলেও জানান তিনি।

আজিজুর রহমান আরো জানান, জিকা ভাইরাস শনাক্ত হওয়া রক্তের নমুনা ৬৭ বছর বয়সের এক পুরুষের, বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন, সামাজিক নিরাপত্তার স্বার্থে ওই ব্যক্তির নাম পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, ডেঙ্গু সংক্রামনের জন্য দায়ী এডিস মশা জিকে ভাইরাসের বাহক, সাধারণত এক সপ্তাহ থেকে ১০দিন পর্যন্ত এই ভাইরাসের প্রভাব শরীরে থাকতে পারে, এছাড়া শরীরের বড় ধরনের তেমন কোন প্রভাব পড়ে না, এখন পর্যন্ত জিকে ভাইরাসের কারণে বিশ্বে কারো মৃত্যুর খবর জানা যায়নি।

চমেকের এই চিকিৎসক জানান, জিকা ভাইরাসের কারণে চোখ লাল হয়ে যাওয়া, শরীরে বিভিন্ন ধরনের রাশ উঠা, পায়ের ঘিরা ফুলে যাওয়া ছাড়া অন্যকোন প্রভাবের কথা জানা যায়নি, তবে ব্রাজিলে এই ভাইরাসের আক্রান্ত গর্ভবতী মায়েরা তুলনামূলক ছোট মাথার সন্তন প্রসব করেন।

সিভিল সার্জন আরো জানান, জিকা ভাইরাস নিয়ে বিশ্বব্যাপি হৈ চৈ হলেও এই নিয়ে আমাদের আতংকিত হওয়ার কিছু নেই, শুধু মাত্র ডেঙ্গু প্রতিরোধে নেয়া ব্যবস্থায় জিকা ভাইরাস বাহী এডিস মশা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

এখন পর্যন্ত জিকা ভাইরাস প্রতিরোধ কিংবা প্রতিষেধকও আবিষ্কৃত হয়নি বলে জানান ডা. আজিজুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, সিভিল সার্জন অফিসের কর্মকর্তা ডা; নুরুল হায়দার।

উল্লেখ্য, এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জিকা ও ডেঙ্গু ভাইরাস দমন বিষয়ক এক সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রামে জিকা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

জীবন মুছা/এসকেডি/এমএস

আরও পড়ুন