ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সত্য দিয়ে ভুল তথ্যকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চাই: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৭:১৯ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

সত্য তথ্য দিয়ে অপতথ্য ও ভুল তথ্যকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চান বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে জার্মানির বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এ কথা বলেন তিনি।

রিপোর্টার্স উইদাইট বর্ডারসের (আরএসএফ) প্রকাশিত ২০২৩ সালের প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আরএসএফের প্রতিবেদনে অনেক ভুল তথ্য আছে। এর বিপরীতে প্রকৃত সত্য আমি তথ্যপ্রমাণসহ গণমাধ্যমে তুলে ধরেছি। এ সংক্রান্ত একটা চিঠি আরএসএফকে পাঠিয়েছি। আমাদের উদ্দেশ্য আরএসএফের কাছে সত্য তুলে ধরা এবং আমাদের নিয়ে করা র্যাংকিং পুনর্মূল্যায়ন করা।

তিনি আরও বলেন, কিছু মানুষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সরকারের কাজের সমালোচনা করে। তবে বর্তমান সরকার গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানায়। আমরা শুধু অপতথ্য ও ভুল তথ্য প্রতিরোধ করতে চাই। গণমাধ্যম সঠিক তথ্যপ্রমাণসহ সরকারের সমালোচনা করলে সেটি সরকারকে সহযোগিতা করে। কিন্ত ভুল তথ্য দিয়ে কোনো কিছুর সমালোচনা করলে তা কাউকে সহযোগিতা করে না।

সাক্ষাৎকার প্রদানকালে তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ডিজিটাল দুনিয়া থেকে জনগণকে নিরাপদ রাখার জন্য সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করেছে। এর অপব্যবহার নিয়ে সমালোচনা হওয়ায় সরকার এটি পরিবর্তন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করে। এটিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সৌন্দর্য। তার সরকার সবসময় চাহিদার নিরিখে সবকিছুর সমন্বয় করে, পরিবর্তন করে।

বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। ডেল্টাকে রক্ষার জন্য বাংলাদেশ ১০০ বছরের ডেল্টা প্ল্যান প্রণয়ন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছেন। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় আরও গবেষণা প্রয়োজন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সব সময় আন্তর্জাতিক ফোরামে জোরালো বক্তব্য তুলে ধরে আসছে। জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরও সহযোগিতা ও বাস্তবসম্মত সমাধানে আসা প্রয়োজন।

রোহিঙ্গাদের নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সহানুভূতি দেখিয়েছে। বর্তমানে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকরা বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশের জন্য বড় ধরনের চাপের কারণ। বাংলাদেশ চায় রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে সম্মানজনকভাবে ফিরে যাক। গোটা বিশ্বের রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের নিয়ে দায়িত্ব রয়েছে। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে উন্নত রাষ্ট্রসমূহের ভূমিকা নেওয়া উচিত। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এ বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জার্মানির বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক রিচার্ড বাইল, মাইকেল স্ট্যাং, সুসান ক্রুটজম্যান, আলজোসা হার্টম্যান, জুলিয়া থেরাস হেল্ড, নাটালি মেরোথ, বেঞ্জামিন বার্ন্ড থমাস।

আইএইচআর/জেডএইচ/জেআইএম