তিস্তা ও স্থল সীমান্ত চুক্তি সমাধানে মোদির আশ্বাস
তিস্তা ও স্থল সীমান্ত চুক্তি সমস্যা সমাধানে ভারতের বর্তমান সরকার অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে জানিয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার হায়দ্রাবাদ হাউসে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠকের উদ্ধৃতি দিয়ে এ কথা জানিয়েছেন।
নরেন্দ্র মোদি বলেন, তিস্তা পানি বন্টন ও স্থল সীমান্ত চুক্তি ইস্যুর দ্রুত সমাধানে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া যত দ্রুত সম্ভব ঢাকা সফরের পরিকল্পনা নিয়েছেন বলেও আবদুল হামিদকে জানান তিনি।
আধ ঘন্টার এ বৈঠককালে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্ব ও তাঁর ‘গুজরাট মডেল’-এর প্রশংসা করে বলেন, তাঁর নেতৃত্বে সারা ভারতের তরুণ প্রজন্ম একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলবে।
বিদ্যুৎ খাতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি এ ক্ষেত্রে বিশেষ করে নেপাল ও ভুটান থেকে বাংলাদেশের জলবিদ্যুৎ আমদানি প্রচেষ্টায় তাঁর দেশের আরো সহযোগিতা কামনা করেন।
জবাবে মোদি বলেন, বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা জোরদারে ভারত প্রস্তুত রয়েছে।
আবদুল হামিদ আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, এ ধরনের যোগাযোগ এতদঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।
এ প্রসঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবকাঠামো ও পর্যটনের উন্নয়নসহ যোগাযোগ প্রচেষ্টা হতে হবে উপ-আঞ্চলিক যোগাযোগ উন্নয়ন।
এ সময় নিউইয়র্কে এবং কাঠমান্ডুতে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে এ বিসময়ে সফল আলোচনা করেছেন বলেও জানান মোদি।
মোদি বলেন, দুই মহান মুক্তিযোদ্ধা জেনারেল জ্যাকব ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হতে পেরে তিনি আনন্দিত।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের নজিরবিহীন সমর্থন ও সহায়তার কথা গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে উল্লেখ করেন।
সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ পক্ষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী, সিনিয়র সচিব আলতাফ আলী এবং রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ভারতের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পংকজ শরণ উপস্থিত ছিলেন। -বাসস