ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

গবাদি পশুর ওষুধ কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত

প্রকাশিত: ০১:০৭ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪

রাজধানীর খলক্ষেতে গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগির ওষুধ তৈরির অবৈধ কারখানায় অভিযান চালিয়ে মেহেদী হাসান (২০) নামে একজনকে সাজা দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার সকালে টানপাড়া নিকুঞ্জ-২ এর ১ নম্বর রোডের খ-১৭৮/ডি নম্বর বাড়ির ওই কারখানায় এ অভিযান চালিয়ে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ এম আনোয়ার পাশা এ সাজা দেন।

র‌্যাব-১ এর এএসপি আকরামুল হাসানের পরিচালনায় র্যাব সদস্যরা অভিযানে অংশ নেয়।

এ এইচ এম আনোয়ার পাশা জাগোনিউজকে বলেন, তোফাজ্জল হোসেন (৬০) নামে এক ব্যক্তি তার টিনশেড বাড়ির একপাশে টিনের ছাপড়া তুলে গবাদি পশুর ওষুধ তৈরির কারখানা দিয়েছেন।

এ কারখানায় Bovi-vet-c3, Powerlyte, Power zyme, Rumen-T ইত্যাদি ওষুধসহ ১৯ ধরনের প্রিমিক্স তৈরি করছিলেন। এখানেই অত্যান্ত নোংরা পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছিল Bovi-vet-c3 লেভেলে ঔষধটি।

কারখানায় টিনের ছাপড়ার দুটি কক্ষে ওষুধ তৈরির বিভিন্ন কাঁচামাল মোড়ক, লেবেল একসাথে গাদাগাদি করে ফেলে রাখা হয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী কেমিস্ট/ভেটেরিনারিয়ান এর তত্ত্বাবধানে ওষুধ তৈরি বাধ্যতামূলক হলেও মেহেদী হাসান নামের একজন অশিক্ষিত ব্যক্তি সমুদয় কাজ পরিচালনা করছিলেন।

কারখানায় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই এবং মিক্সার মেশিনটিও নষ্ট। প্লাস্টিকের বালতিতে কাঁচামাল নিয়ে তাতে মিশিয়ে ওষুধ তৈরি করা হচ্ছিল। হাতে তৈরি এসব উপকরণ প্যাকেটে ভরে হিট মেশিনের মাধ্যমে প্যাকেট সিল করে তাতে লেবেল লাগিয়ে তৈরি হচ্ছিল এসব ওষুধ।

নিয়ম অনুযায়ী কাঁচামাল ও উৎপন্ন পন্যের আলাদা সংরক্ষণাগার থাকতে হবে এবং কোন কাঁচামালের নাম কি তা কৌটার গায়ে লিখা থাকতে হবে।

তিনি জানান, অভিযুক্ত মেহেদী হাসান জানায় এক ব্যক্তি মাসে দুই একবার এসে কোনটির সাথে কি মেশাতে হবে তা দেখিয়ে দিয়ে যায়। সে মোতাবেক সেই এসব ওষুধ তৈরি করে প্যাকিং করে। গত ছয় বছর যাবত এ কারখানা চলছে বলে তিনি জানান। মেহেদী হাসানকে দায়িত্ব দিয়ে কারখানার মালিক তোফাজ্জল গ্রামের বাড়ি বেড়াতে গেছেন।

তিনি আরো জানান, অভিযানে চার ধরনের অবৈধ ওষুধ জব্দ করা হয় এবং কারখানা সিলগালা করা হয়। এছাড়া মেহেদী হাসানকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড প্রদান করে মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করার জন্য ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে বলা হয়েছে।