প্রেস সচিব
অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা
![অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/press-20241201210234.jpg)
আওয়ামী লীগের সময়ে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেন, আমাদের সরকারের অন্যতম কমিটমেন্ট পাঁচার হওয়া টাকা ফেরত আনবো। এ বিষয়ে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যেই আমরা কাজ শুরু করে দেবো। যারা এটা নিয়ে কাজ করে তাদের সঙ্গে আমাদের অনেক ধরনের বৈঠক হবে। কোথায় (কোন দেশে) টাকাটা চুরি করে নিয়ে গেছে- এটা শনাক্ত করা হবে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবৈধভাবে পাচার হয়েছে। দেশের অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে অন্তর্বর্তী সরকার যে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠন করেছে, তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি তিন মাসের অনুসন্ধান শেষে তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেছে।
- আরও পড়ুন
- শেখ হাসিনার আমলে বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে
- অর্থনীতির শ্বেতপত্র পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত: ড. ইউনূস
শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদন প্রসঙ্গে শফিকুল আলম বলেন, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে দেন প্রধান উপদেষ্টা। শেখ হাসিনার আমলে দেশের অর্থনীতি কেমন ছিল তার প্রতিবেদন দিতে। কমিটিকে তিন মাসের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, তারা তিন মাসের মধ্যেই রিপোর্ট তৈরি করেছেন। আজ তারা সেটি হ্যান্ডওভার করেন।
তিনি বলেন, মূল ফাইন্ডিংস এরই মধেই একটা প্রেস রিলিজের মাধ্যমে আমরা জানিয়েছি। মূল চিত্র ভয়াবহ। গত ১৫ বছর উন্নয়নের গল্পটা পোস্টমোর্টেম করা হয়। এটার ভয়াবহ চিত্র ফুটে উঠেছে। বাংলাদেশের মানুষের চোখের সামনে লুটপাট চলেছে। একটা লুটপাটতন্ত্র জারি হয়েছিল। অনেকে আবার এটার বৈধতাও দিয়েছেন।
প্রেস সচিব আরও বলেন, আমরা দেখেছি বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বাইরে পাচার করা হয়েছে। এটা শুনে আমরা আতংকিত, রক্ত হিম করার মতো অবস্থা। এটা বাংলাদেশের ট্যাক্সপেয়ারের মানি (যারা কর দেন তাদের করের টাকা), দেশের অনেক মানুষ গরিব, গরিব মানুষের টাকাও লুটপাট হয়েছে। কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি, আমলা ও কিছু ব্যবসায়ী টাকা লুটপাটে জড়িত ছিলেন। এদের যোগসাজশে টাকা লুটপাট করা হয়েছে। আমাদের মধ্যে অনেক সাংবাদিকও এটার বৈধতা দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন এটা লুটপাটের এমনই চিত্র আমাদের পাঠ্যবইয়ে আসা উচিত। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে এটা জানা উচিত গত ১৫ বছর কতটা লুটপাট চলেছে।
এমওএস/কেএসআর/জিকেএস
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ রাজধানীতে ‘কবজি কাটা গ্রুপের’ নাসিরসহ ৪ ছিনতাইকারী গ্রেফতার
- ২ বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্মেলনের প্রতিষ্ঠাতা ক্লাউসের অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস
- ৩ বাংলাদেশে নতুন বন্দর নির্মাণ করতে চায় ডিপি ওয়ার্ল্ড ও মায়ারস্ক
- ৪ এক ব্যক্তি একাধিক ব্যাটারিচালিত রিকশার মালিক হতে পারবেন না
- ৫ সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ছেলেসহ এমপির বিরুদ্ধে মামলা