ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

চাই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি

সম্পাদকীয় | প্রকাশিত: ০৩:৫৭ এএম, ১৪ নভেম্বর ২০১৭

ছয় নারীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় শরীয়তপুরের সেই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে অবশেষে ধর্ষণ মামলা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী এক গৃহবধূ ভেদরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। আমরা আশা করবো এই মামলার পর পুলিশ অপরাধীকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবে।

ওই নারীর দায়ের করা মামলায় বলা হয়- আরিফ হাওলাদার তার স্বামীর আত্মীয় হওয়ায় এবং কাছাকাছি বাড়ি হওয়ায় মাঝে মধ্যেই তার শ্বশুরবাড়িতে আসতো। তার স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর গত ১ মার্চ ২০১৭ তারিখে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আরিফ হঠাৎ করেই তার ঘরে ঢুকে পড়ে এবং জড়িয়ে ধরে আপত্তিকর ভিডিও করতে থাকে। একপর্যায়ে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ওই গৃহবধূ মান-সম্মানের ভয়ে এতদিন কাউকে কিছু বলেনি। তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি শেষ পর্যন্ত ভিডিও নেটে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের (বহিষ্কৃত) সাধারণ সম্পাদক আরিফ হাওলাদার গোপনে ছয় নারীর আপত্তিকর ছবি ভিডিও করে এবং ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাদের ধর্ষণ করে। এসব ধর্ষণের ছবিও গোপনে ভিডিও করে রাখে। লোকলজ্জার ভয়ে ঘটনার শিকার নারীরা এসব কথা কাউকে না বললেও সম্প্রতি ওই সব ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওগুলোতে গৃহবধূ ও কলেজছাত্রীসহ ভিন্ন ভিন্ন ৬ নারীর সঙ্গে আরিফকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা গেছে।

এ ঘটনায় ১০ নভেম্বর সংগঠন থেকে আরিফকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে শরীয়তপুর জেলা ছাত্রলীগ। কথা হচ্ছে বহিষ্কারই সমাধান নয়। এ ধরনের অপকর্মের ক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবেই সে তার দলীয় প্রভাব ও ক্ষমতার বিষয়টি মাথায় রেখেছে। তাই সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে হলেও এ ধরনের অপকর্মের হোতার আইনানুগ শাস্তির ব্যাপারেও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

দুঃখজনক হচ্ছে প্রযুক্তির অপব্যবহার করে নারীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে সুযোগ নেযার ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। সমাজে এ ধরনের বিকৃতি চলতে থাকলে তা এক ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে। যেটা কারো জন্যই মঙ্গলজনক হবেনা। এ ধরনের ঘটনায় পরিবারের দায়িত্ব রয়েছে। পারিবারিক বন্ধন আরো দৃঢ় ও মজবুত করে সেখান থেকেই মূল্যবোধের শিক্ষা দিতে হবে পরিবারের সদস্যদের। ধর্মীয় ও সামাজিক অনুশাসনও এক্ষেত্রে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করতে পারে। সাংস্কৃতিক আবহে ছেলেমেয়েরা যাতে বেড়ে উঠতে পারে সেজন্য ক্লাব কালচার, গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠাসহ নানাবিধ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বাড়াতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করা। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি অপরাধ দমনে বড় ধরনের ভূমিকা রাখে।

এইচআর/জেআইএম

আরও পড়ুন