ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

কান নিয়েছে চিলে!

শান্তনু চৌধুরী | প্রকাশিত: ০৯:৫৭ এএম, ২২ নভেম্বর ২০১৯

‘বানরের গলায় মুক্তার হার’ বলে একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহজলভ্যতার কারণে এবং যার তার হাতে স্মার্টফোন চলে যাওয়ায় আমাদের অবস্থাও হয়েছে তেমন। যার বড় প্রমাণ গত ১৯ নভেম্বর লবণের দাম বেড়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে দেয়া। সেদিন দুপুরের পর পাড়া-মহল্লায় অলিতে গলিতে মুদি দোকানে লবণের স্টক খালি হয়ে যায়। কারওয়ানবাজারে যার প্রয়োজন নেই সেও ২০ থেকে ৩০ প্যাকেট লবণ নিয়ে যাচ্ছে। শুধু রাজধানী ঢাকায় না, সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় একই অবস্থা। এমন হয়েছে, শেষ পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেট নামিয়ে বেশি দামে বিক্রি করা অসাধু দোকানিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু মানুষ হঠাৎ কেন গুজবে কান দিয়ে তড়িঘড়ি করে বেশি পরিমাণ জিনিস কিনে রাখছে? এর কারণ হচ্ছে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি তাদের আতঙ্কিত করেছে।

এর আগে ডেঙ্গুর প্রকোপের সময় মশা তাড়ানোর ওষুধ ওডোমাস এর ক্ষেত্রেও এমন হয়েছে। সেই দুটি হয়তো বাস্তবে ফলেছে। কিন্তু লবণের ক্ষেত্রে সরকার দ্রুত অ্যাকশনে গেল এটা অবশ্য একটা ভালো দিক। কারণ প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, প্রচুর লবণ মজুত রয়েছে। এবং কয়েকটি জায়গায় দাম কম হওয়ায় লবণ পড়ে আছে। শেষ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে প্রেস নোট জারি করা হয়েছে, যাতে বলা হয়েছে লবণ বা অন্য কোনো বিষয়ে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

সেখানে আরো বলা হয়, একটি মহল পরিকল্পিতভাবে দেশে গুজব ছড়াচ্ছে। শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে যে, দেশে লবণের পর্যাপ্ত মজুত আছে। ডিসেম্বর মাসেই দেশে নতুন লবণ উৎপাদিত হয়ে বাজারে আসবে। বর্তমান মজুতের সঙ্গে যোগ হবে নতুন উৎপাদিত লবণ। ফলে দেশে লবণের কোনো সংকট নেই বা এমন কোনো আশঙ্কাও নেই। আমাদের দেশে এ ধরনের গুজব নতুন নয়। একশ্রেণির দুষ্টচক্র সেটি সবসময় করে। এমনও হতে পারে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য এটি করা হতে পারে। আমরাও এমন হুজুগে যে, শামসুর রাহমানের সেই কবিতাটির মতো,
‘এই নিয়েছে ঐ নিল যাঃ! কান নিয়েছে চিলে,
চিলের পিছে মরছি ঘুরে আমরা সবাই মিলে।
নেইকো খালে, নেইকো বিলে, নেইকো মাঠে গাছে;
কান যেখানে ছিল আগে সেখানটাতেই আছে।’

কিছুদিন আগে সিরাজগঞ্জে ট্রেনে আগুন লাগা নিয়ে গুজব তৈরি হলো। তবে সবচেয়ে বড় গুজবটি ছিল, ২০১৩ সালের মার্চে সাঈদীকে চাঁদে দেখা যাচ্ছে বলে গুজব ছড়ানো হয়, এ খবর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে জামায়াত ও বিএনপির কর্মীরা দেশজুড়ে তাণ্ডব চালায়, গুলি ছুড়তে বাধ্য হয় পুলিশ। ঢাকার শাপলা চত্বরে যৌথবাহিনীর অপারেশনে হেফাজতে ইসলামীর কর্মীদের মৃতের সংখ্যা নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, গণমাধ্যমের সামনে ওই অপারেশন পরিচালিত হয়েছে। নিহতের ব্যাপারে যে খবর ছড়ানো হচ্ছে তা গুজব। পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজে মানুষের মাথা লাগবে বলে গুজব ছড়ানো হয়। বাধ্য হয়ে কর্তৃপক্ষকে সতর্কবার্তা দিতে হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগবে এমন গুজব ছড়িয়ে শিশুদের ধরে নেওয়া হচ্ছে বলে ‘ছেলেধরা’ গুজব ছড়িয়ে পড়ে। ছেলেধরা সন্দেহে কয়েকজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে এনিয়ে সতর্কবার্তা জারি করে সরকার। ছেলেধরা গুজবের রেশ না কাটতেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তিনদিন বিদ্যুৎ বন্ধ রেখে বাচ্চাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হবে বলে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে গুজব ছাড়িয়ে পড়ে। পরে বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, এই খবরটি সঠিক নয়। ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নিখোঁজ’ শিরোনামে একটি খবর বেনামি কিছু ওয়েবপোর্টাল ও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। সেটিও ছিল গুজব। কমোডে বা বেসিনে হারপিক ও ব্লিচিং পাউডার ঢেলে এডিস মশা মারার একটি বার্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটিও একটি গুজব। এক পাশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং অন্য পাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ছবি সম্বলিত নতুন ১০০ টাকার নোট বাজারে ছাড়া হয়েছে জানিয়ে সেই নোটের একটি ছবিও ছড়িয়ে যায় ফেসবুকে। পরে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায় এই তথ্য ভুয়া। ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার গুজব নিয়ে তো বেশ কয়েকবার তুলকালাম কাণ্ড ঘটে। কক্সবাজারের রামু উপজেলায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ভোলার নাসিরনগরসহ আরো বেশ কয়েকটি জায়গায় একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

চারদিকে এতো খবরের ছড়াছড়ি। এর মধ্যে কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুয়া বাছাই করাই যেন মুশকিল। আগেকার দিনে গ্রামে এমনও ঘটতো পাকা দেখার সময় এক মেয়েকে দেখিয়েছে, পরে বিয়ে দেয়া হয়েছে আরেক মেয়েকে। এ নিয়ে বিয়ের আসরে সেকি ধুন্ধুমার! আমাদের গ্রামে বহু বিয়েতে আগ্রহী পুরুষকে নাকি মেয়ে বলে ‘পুরুষ’ বিয়ে করিয়ে দিয়েছিল দুষ্ট লোকজন। সেকালেতো বিয়ের আগে এতো জানা-বোঝার সুযোগ ছিল না। এটা লোকমুখে শোনা। কতোটা সঠিক, কতোটা ভুয়া জানা মুশকিল। এখন অবশ্য ফেসবুক, হোয়াটস আপ, টুইটার, ভাইভার, স্নাপচ্যাট, ইনস্ট্রগ্রাম আছে। আগেই সব জানা সম্ভব। কিন্তু মুশকিলটা হচ্ছে ভুয়া জানা নিয়ে। প্রযুক্তির ব্যবহার যতোই বাড়ছে ভুয়া খবরের সংখ্যাও বাড়ছে। এবং ভুয়া খবর যে ভালো খবরের আগে ছড়ায় সেটাও গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে। খারাপ খবর যেমন বাতাসের আগে ছড়ায়, ভুয়া খবরও তেমনি নেটের আগেই ছড়ায়!

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞানীরা হিসাব করে দেখেছেন যে, একটি ভুয়া খবর ১ হাজার ৫০০ জন টুইটার ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছাতে ১০ ঘণ্টা সময় নেয়। একই সংখ্যক ব্যবহারকারীর কাছে সঠিক তথ্যের খবর পৌঁছাতে ৬০ ঘণ্টা সময় নেয়। গড়ে একটি ভুয়া খবর সত্য খবরের চেয়ে ৩৫ শতাংশ বেশি লোকের কাছে পৌঁছায়। ভুয়া খবর যে আগেও ছিল না তা নয়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট হয়ে যে চমক বিশ্ববাসীকে দেখিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, সেই বছর থেকেই ভুয়া খবর বা ফেক নিউজের কথা শোনা গেলো বেশি। এমনটি ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, এই ঘোষণাকেই ভুয়া ভেবেছিলেন অনেকে। ২০১৬ সালে অক্সফোর্ড ডিকশনারির বিবেচনায় বছরের সবচেয়ে আলোচিত শব্দ ছিল ‘ফেক নিউজ’। এখনতো সাধারণ মানুষ থেকে অসাধারণ মানুষ সবাই আতঙ্কিত এই ফেক নিউজ নিয়ে। ফেসবুক, টুইটার ও গুগলকে এখন রীতিমতো কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হচ্ছে। মার্ক জাকারবাগ হয়রান।

ফেক নিউজ নিয়ে চিন্তিত ফেসবুকও। কারণ একটি ভুয়া সংবাদ যে কতোটা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে তার উদাহরণ আমাদের দেশ থেকে সাঈদীকে চাঁদে দেখা যাওয়া। এ নিয়ে সারাদেশে যে ধ্বংসযজ্ঞ চললো তা আর বলার নয়। অথচ চাঁদে যাওয়া সাঈদী চাঁদ থেকে ফিরে এখন কারাগারেই আছেন। অনেক সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ আমাদের দেশে হয়েছে এই ভুয়া খবরকে কেন্দ্র করে। এ জন্যই হয়তো পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, ‘ভুয়া খবর ছড়ানো পাপ।’ তিনি সবাইকে এই পাপকাজ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শুরু থেকেই সাংবাদিকদের প্রতি খাপ্পা। এখন তিনি এতো বেশি ‘ভুয়া সংবাদ’ কথাটি ব্যবহার করেন যে, কোনটি ঠিক আর কোনটি ভুয়া বোঝা মুশকিল। তিনি তার বহুল উচ্চারিত ‘ভুয়া সংবাদ পুরস্কারের’ তালিকা প্রকাশ করেছেন। যেখানে প্রথমেই রয়েছে ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ এর নাম!

ভুয়া খবর কেনো বেশি ছড়ায়। এর অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটি হচ্ছে সন্দেহপ্রবণ ও আকর্ষণীয় হেডলাইন। আমাদের দেশে একটি পত্রিকা নাকি একজন নেত্রীর সাথে কথা না বলেই সাক্ষাৎকার ছেপেছিলেন। কিন্তু যে সময় বা যে স্থানে সাক্ষাৎকার নেয়ার কথা বলা হয়েছে সে সময় ওই নেত্রী সেখানে ছিলেনই না। তার মানে সেটি ভুয়া। তবে মজার বিষয় হচ্ছে ওই দলের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিবাদ জানানো হয়নি। একবার পত্রিকায় হেডলাইন এলো, ‘অমুক (নামটা বললাম না) মা হয়েছেন’। সেটি একজন নেত্রীর নামে। সবাইতো হেডলাইন পড়ে অবাক। স্বামী ছাড়া মা হওয়া গেলেও আমাদের দেশেতো সেটি অসম্ভব! কিন্তু পরে দেখা গেলো আসলে ওই নামে অপর একজন মা হয়েছেন! আবার একটি পত্রিকার শিরোনাম ছিলো, ‘অমুক বন থেকে হেগে এলেন’। এখানে ‘বন’ আর ‘হেগ’ কিন্তু দুটো জায়গার নাম। কিন্তু খবরের শিরোনাম সবাইকে আকৃষ্ট করেছে।

বিজ্ঞাপন

যেহেতু এগুলো সন্দেহপ্রবণ শিরোনাম তাই দৃষ্টি আকর্ষণ হয় বেশি। বিনোদন সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে এ ধরনের ভুয়া খবর বা আকর্ষণীয় শিরোনাম বেশি দেখা যায়। হয়তো লেখা হলো, ‘অমুক কুমারী নায়িকা মা হলেন’ বা ‘অমুকের হাত ধরে পালালেন নায়িকা’। প্রকৃতপক্ষে এসব কিছু ঘটেছে নাটক বা সিনেমায়। কিন্তু শিরোনাম দেখে বোঝার উপায় নেই প্রকৃত সত্যটা কী? তাই দৈব-দুর্বিপাকে এ ধরনের খবর দুর্যোগ ডেকে আনে। একটি ফেসবুক লাইভে দেখাচ্ছিল আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র থেকে নভোচারীদের স্পেসওয়াক করার দৃশ্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় তা ভাইরাল হয়ে যায়। এটি পোস্ট করার পর ফেসবুকে বিপুল পরিমাণ লাইক ও শেয়ার হয়। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, ফুটেজের কোথাও নাসা বা ফেসবুকের লাইভ স্ট্রিম কথাটির উল্লেখ ছিল না। পরে নাসা’র এক মুখপাত্র জানান, ভিডিওটি ২০১৩ সালে রুশ নভোচারীদের ধারণ করা একটি ভিডিও। জার্মানির একটি সংবাদভিত্তিক ব্লগসাইট এক ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করে ব্যাপক বিতর্কের মুখে পড়ে। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শহর মানহাইমে বড় সন্ত্রাসী হামলার খবর প্রকাশ করেছিল সাইটটি। এতে লেখা হয়েছে যে, ‘ফ্রাঙ্কফুট্রের কাছে মানহাইমে ৫০ জনের মতো সশস্ত্র হামলাকারী ২৫টি ভিন্ন ভিন্ন স্থানে অন্তত ১৩৬ ব্যক্তিকে হত্যা করেছে।’

প্রতিবেদনটিতে এ কথাও লেখা হয় যে, ‘রাস্তাঘাটসহ সর্বত্র প্রাণহীন দেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। বাতাসে রক্তের গন্ধ ভাসছে। আর আহতরা সহায়তার জন্য চিৎকার করছে।’ প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরপরই সাড়া দেয় মানহাইম পুলিশ। টুইটারে তারা জানায়, প্রতিবেদনটিতে প্রকাশিত তথ্য সঠিক নয়। ভুয়া সংবাদ প্রকাশের পর ব্লগটি দাবি করেছে, ভবিষ্যতে এরকম কোনো হামলার ঘটনা ঘটলে প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে তা নিয়ে বিতর্কের উদ্দেশ্যে সংবাদটি প্রচার করেছে তারা, আতঙ্ক সৃষ্টি তাদের উদ্দেশ্য ছিল না।’ অনেক সংবাদমাধ্যমও ইন্টারনেটে আসা তথ্য যাচাই না করে প্রচার করে যার ফলে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। আবার অনেকে ভুয়া একাউন্ট করে ভুয়া খবর তৈরি করেও মজা পান। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, ‘শাকিব একি করলেন অপুর সাথে? (দেখুন ভিডিও সহ)’। আবারো অনেকে নিজেরা কিছু সৃষ্টি করে পরিচিতি বাড়ানোর জন্য ভুয়া খবর প্রচার করে।

প্রকৃতপক্ষে ভুয়া খবর নিয়ে বিব্রত সবাই এবং একে ঠেকানোর জন্য চেষ্টারও কমতি নেই। কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আধিপত্যবাদ একদিকে যোগাযোগ যেমন সহজ করে দিয়েছে তেমনি একটি ভুয়া সংবাদও জনজীবনকে করে তুলছে দুর্বিষহ। ডেকে আনছে সমূহ বিপদ। ফেসবুকসহ অনেক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চেষ্টা করছে এসব খবরের উৎস চিহ্নিত করে তা বন্ধ করতে। এবং প্রযুক্তির কল্যাণে তা করা কঠিন কিছুই নয়। নিজেদেরও সচেতন হতে হবে এক্ষেত্রে। কোনো একটি সংবাদ শুনেই তা বিশ্বাস করার প্রয়োজন নেই। মূলধারার সংবাদ মাধ্যমগুলো এ বিষয়ে কোনো সংবাদ প্রচার করছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অনেক সময় গজিয়ে উঠা ডট কম টাইপের অচেনা অন লাইনগুলোও নিজেদের প্রচার বাড়াতে ভুয়া খবর তৈরি করে। এসব বিষয়ে সচেতন পাঠক হিসেবে নজর রাখা জরুরি। আর কিছু মানুষের স্বভাবই কুৎসা রচনা করে উত্তেজনা তৈরি করা। এরা সেটা যেকোনো প্রকারেই করবেই। নইলে জরিপ বলছে, ঢাকা শহরে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা সোয়া দুই কোটি। অথচ এই শহরের জনসংখ্যা মাত্র দেড় কোটি।

বিজ্ঞাপন

লেখক : সাংবাদিক ও সাহিত্যিক।

এইচআর/পিআর

বিজ্ঞাপন