ভিডিও EN
  1. Home/
  2. মতামত

কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন

সম্পাদকীয় | প্রকাশিত: ০৯:৫১ এএম, ২২ জুলাই ২০২০

আসছে পবিত্র ঈদুল আজহা। এ উপলক্ষে বসছে কোরবানির পশুর হাট। অন্যদিকে ব্যস্ততা বেড়েছে পশুর খামারগুলোতে। মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এবার সীমিত আকারে বসছে পশুর হাট। এদিকে করোনা ও বন্যা দুর্যোগের কারণে পশুর প্রত্যাশিত দাম পাওয়া নিয়ে সংশয়ে আছেন খামারিরা। এ অবস্থায় পশুর হাটের নিরাপত্তা এবং খামারিরা যেন কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

জাগো নিউজের এ সংক্রান্ত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় খামার ও বাসাবাড়িতে কোরবানিযোগ্য প্রায় ৯ লাখ পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে করোনা ও বন্যা দুর্যোগের কারণে পশুর প্রত্যাশিত দাম পাওয়া নিয়ে বিভাগের দেড় লাখ খামারি সংশয়ে আছেন। অনেকেই কম দামে গরু বিক্রি করছেন। এ অবস্থায় খামারিদের লোকসান ঠেকাতে অনলাইনে পশু বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন ও প্রাণিসম্পদ বিভাগ। সেই সঙ্গে হাট-বাজারগুলোতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে পশু বিক্রির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। অঞ্চল ভেদে পশু পরিবহনের সু-ব্যবস্থা হিসেবে প্রথমবারের মতো সড়কের পাশাপাশি রেলপথকেও বেছে নেয়া হয়েছে। এত কিছুর পরও পশুর কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়া নিয়ে খামারিরা সংশয়ে আছেন। করোনা ও বন্যার প্রভাব পড়েছে দেশের উত্তরাঞ্চলের হাটগুলোতে। সেই সঙ্গে রয়েছে গরুর লাম্পিং স্কিন ডিজিজ। গরু কেনায় তেমন আগ্রহ নেই ব্যবসায়ীদের। হাটে সাধারণ ক্রেতাদেরও নেই ভিড়। পশুর হাটের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে এই সময় নগদ টাকার লেনদেন অনেক বেড়ে যায়। এছাড়া মলমপার্টি, অজ্ঞানপার্টি, জালিয়াতচক্রের অপরাধীরা এই সময় আরো সক্রিয় হয়ে ওঠে। কোরবানির পশুর হাটের ইজারা এবং হাসিল আদায় নিয়েও আধিপত্য বিস্তারের ঘটনা ঘটে। এসব কারণে পশুর হাটের নিরাপত্তা জোরদার করা অত্যন্ত জরুরি।

এ বছর ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে সীমিত পরিসরে বসছে কোরবানির পশুর হাট। পশুর হাটগুলোতে লাখ লাখ মানুষের সমাগম আর কোটি কোটি টাকার লেনদেন হবে। তাই সবকিছু মাথায় রেখে এবার রাজধানীর পশুর হাটে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার পরিকল্পনা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। হাটের শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে এবার সমন্বিতভাবে কাজ করবে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি), আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও র‌্যাব। কোরবানির পশুর হাটের নিরাপত্তা বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নানা রকম পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু এরপরও নানা রকম অপতৎপরতা চলতেইই থাকে। পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে পশুর হাটকে কেন্দ্র করেও চলে নানা অপতৎপরতা। এ সময় সক্রিয় হয়ে ওঠে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা। গরু ব্যবসায়ীদের তারা টার্গেট করে। এদের অপতৎপরতা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।

এছাড়া মলম পার্টির লোকজনও সক্রিয় হয় এ সময়। তারা সুযোগ বুঝে চোখে মলম লাগিয়ে সর্বস্ব কেড়ে নেয়। অতীতে এরক ঘটনার অনেক নজির আছে। সে আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পশুর হাটে পর্যাপ্ত জায়গা থাকতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নিতে হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। ক্রেতা বিক্রেতারা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করে পছন্দের পশু কিনতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এ সময় নগদ অর্থের লেনদেনও বেশি হবে। এ জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে। পশুর হাটে জাল টাকার বিস্তার রোধেও নিতে হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। জাল নোট শনাক্তকারী মেশিনও রাখতে হবে পশুর হাটে।

এইচআর/জেআইএম