প্ল্যাটফর্মে প্রতীক্ষা, ছাদে রওয়ানা: বাড়ির টানে অসম লড়াই

প্রকাশিত: ১১:০১ এএম, ০৬ জুন ২০২৫

অপেক্ষা মাত্র কয়েক ঘণ্টার। রাত পোহালেই ঈদ। তাইতো শেষ সময়ে বাড়ি ফেরার জন্য রীতিমতো যুদ্ধ করছেন নগরবাসী। সেই বাড়ি ফেরার লড়াই এখন চোখে পড়ে ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে। ছবি: মাহবুব আলম

১/১২

সকাল থেকে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মজুড়ে ঘরমুখো মানুষের ভিড়, ক্লান্ত চোখে ভেসে ওঠে প্রিয়জনের মুখ।

২/১২

কারোর হাতে স্যুটকেস, কারোর কোলে শিশু, আবার কেউ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদেই চেপে বসেছেন বাড়ির পথে।

৩/১২

ঈদের আগের দিন শহর ছাড়ার এই যুদ্ধ যেন শুধু একটা ছুটি নয়, বরং ফিরে যাওয়ার এক আবেগের উৎসব; যেখানে কষ্ট, ক্লান্তি আর আনন্দ মিলেমিশে একাকার।

৪/১২

টিকিট কাটা যাত্রীদের অপেক্ষা যেমন দীর্ঘ, তেমনি টিকিট না পাওয়া অসংখ্য মানুষও চেষ্টা করছেন ট্রেনের যেকোনো খালি জায়গায় ঠাঁই করে নিতে।

৫/১২

কেউ দাঁড়িয়ে, কেউবা বসে, আর কেউ পছন্দ করছেন ছাদকেই; যেখানে নেই কোনো নিরাপত্তা, নেই কোনো ছায়া। কেবল আছে বাড়ি ফেরার একটুখানি আশার আলো।

৬/১২

এ যেন এক জনসমুদ্র।

৭/১২

স্টেশনে আসা এক গৃহবধূ বলেন, টিকিট পাইনি। বাচ্চা নিয়া ছাদে উঠা ঝুঁকি, তাই ট্রেন আসলেই দেখি কোথাও একটা জায়গা পাই কিনা। ঈদের আগে বাড়ি না ফিরলে মনটাই খারাপ হয়ে যায়।

৮/১২

কমলাপুর স্টেশনের বুক জুড়ে দেখা গেলো এক আত্মিক টান, এক মনছোঁয়া দৃশ্য-হাজারো মানুষ নানা কষ্ট নিয়ে ফিরছে শেকড়ে, ঈদের খুশি ভাগ করে নিতে।

৯/১২

এদিকে কমলাপুর স্টেশনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

১০/১২

স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলছে, নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ ঈদযাত্রায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

১১/১২

ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৭৪ জন আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। তারা আগামী ১২ জুন পর্যন্ত মোট ১৫ দিন যাত্রীসেবা, স্টেশনে শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবেন তারা। যেকোনো সংকটে যাত্রীদের পাশে থাকতে প্রস্তুত থাকবে বাহিনীর সদস্যরা।

১২/১২

ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, যাত্রীদের ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি। তিন স্তরের টিকিট চেকিং ব্যবস্থা করা হয়েছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে।