মহাষষ্ঠীর দিন শিয়ালদহে ঢাকিদের ভিড়

প্রকাশিত: ০২:২২ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মহাষষ্ঠীর আগমনেই শুরু হয় কলকাতার শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরে ঢাকিদের ভিড়। বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজায় ঢাকের ছন্দ ছাড়া পূজার রঙ মেলানো যায় না। ঢাকিরা তাদের ঢাকে পূজার উন্মাদনা ছড়িয়ে দেন, আর সারা শহরেই উৎসবের মেজাজ বিরাজ করে। ছবি: ধৃমল দও

১/৮

প্রতিবছর এই উৎসবের সময় ঢাকিরা তাদের পরিবার নিয়ে আসেন এবং ঢাকের তারস্বরে সুর করে উৎসবের উন্মাদনা বাড়িয়ে দেন।

২/৮

শিয়ালদহ স্টেশন চত্বর দুর্গাপূজার সময় ঢাকিদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে ওঠে। ঢাকের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের রং মিলন্তি নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন ঢাকিরা।

৩/৮

যেখান থেকে তারা বিভিন্ন প্যান্ডেলে যেতে প্রস্তুত হয়। বছরের এই সময় যা রোজগার হয় সেই টুকু নিয়ে গ্ৰামে ফিরে প্রিয়জনের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করেন তারা। সেই আশাতেই সারা বছর দিন গোনেন তারা।

৪/৮

নদীয়া জেলার নবগ্রাম থেকে আসা গৌড় দাস বলেন, ‘পাঁচ দিনের জন্য আমরা এখানে এসে ঢাকের তালে দর্শনার্থীদের আনন্দ দেই। তারপর বাড়ি ফিরে চাষাবাদ চালাই।’

৫/৮

মুর্শিদাবাদের বাপন দাসও একই গল্প বললেন, প্রত্যেক বছর পাঁচ দিনের জন্য আসি, তারপর আবার গ্রামে ফিরি।

৬/৮

হাওড়ার আন্দুল থেকে ঢাকিদের বায়না দিতে আসা উৎপল সরকার জানান, চলতি বছর ঢাকিদের বায়নার চাহিদা আগের বছরের তুলনায় অনেক বেড়েছে। যেখানে আগের বছর ১২–১৫ হাজার টাকা হত, এবার পাঁচ দিনের জন্য ২৫–৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বায়না হচ্ছে।

৭/৮

শহরের প্যান্ডেলগুলোতে ঢাকির ঢাকের সুরে ধরা পড়ে পূজার রঙের উন্মাদনা।

৮/৮

মহাষষ্ঠীর দিন থেকেই কলকাতার পুজোপ্রেমীদের আনন্দ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের নানা জেলার ঢাকিরা এবং সারা শহর যেন তাদের ছন্দে মাতোয়ারা হয়ে ওঠে।