চুয়াডাঙ্গার পুরোনো বাইকের হাটে নতুন স্বপ্ন

প্রকাশিত: ০১:১৪ পিএম, ৩০ জুন ২০২৫

প্রতিটি শুক্রবার সকাল থেকে সরগরম হয়ে ওঠে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা পৌর শহরের রেলস্টেশনসংলগ্ন বাস টার্মিনাল এলাকা। জায়গাটা যেন রূপ নেয় পুরোনো মোটরসাইকেলের এক অঘোষিত উৎসবে। দালাল ও বিক্রেতাদের কণ্ঠে ভেসে আসে দাম হাঁকার আওয়াজ, আর ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে দেখে যাচ্ছেন একের পর এক বাইক। ছবি: হুসাইন মালিক

১/৬

হোন্ডা, বাজাজ, হিরো থেকে শুরু করে ইয়ামাহা, টিভিএস-কী নেই এখানে! ৫০ থেকে ১৫০ সিসি পর্যন্ত দেশি-বিদেশি মোটরসাইকেল বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকার মধ্যে।

২/৬

হাট কমিটির তথ্য বলছে, সপ্তাহে গড়ে ৭০০-৮০০টি বাইক আসে, যার মধ্যে ১০০-১৫০টি বিক্রি হয়ে যায়। এই একদিনেই লেনদেন হয় প্রায় ১ কোটি টাকার মতো।

৩/৬

পুরোনো বাইক সংগ্রহ, রিকন্ডিশন, পরিবহন, বিক্রি-সব মিলিয়ে কয়েক শ’ মানুষের জীবিকা এই হাটকে ঘিরেই। কেউ নিজেই বাইক ঠিক করে বিক্রি করেন, কেউ আবার দালাল হিসেবে কাজ করে আয় করছেন মাসে ভালো অঙ্কের টাকা।

৪/৬

এই হাটে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে কোনো বড় ধরনের ঝামেলার খবর নেই। নিয়ম মেনে চলে হাট। কাগজ যাচাই না করে বাইক বিক্রি নয়-এই নিয়ম মানতে হয় সবাইকে। পুলিশের নজরদারিও রয়েছে নিয়মিত।

৫/৬

চুয়াডাঙ্গার বাইরেও ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও যশোর থেকেও মানুষ আসেন এই হাটে। এটি এখন কেবল হাট নয়, আঞ্চলিক পুনর্ব্যবহৃত বাইক বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দু।

৬/৬

সবাই হয়তো নতুন বাইক কিনতে পারেন না, আবার পুরোনোটা বিক্রি করে নতুনটা কেনার সুযোগ চায় অনেকেই। এই হাট যেন তাদের স্বপ্নপূরণের ঠিকানা। একই সঙ্গে উদ্যোক্তা হওয়ার একটা পথও খুলে দেয় এ জায়গা।