বিমানে নয়, কাতার রাজপরিবারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ফিরছেন খালেদা
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমান/ছবি-সংগৃহীত
দীর্ঘ চার মাস পর চিকিৎসা শেষে ঢাকায় ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তবে তিনি বাংলাদেশ বিমানে নয়, কাতারের আমিরের পাঠানো একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সরাসরি ঢাকায় ফিরছেন।
খালেদা জিয়ার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে বিএনপি। এ উপলক্ষে শনিবার (৩ মে) বিকেলে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর বিএনপি ও দলের সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাদের নিয়ে যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে মির্জা ফখরুল এ তথ্য জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিমানবন্দর থেকে গুলশানের ফিরোজা পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীরা নেত্রীকে স্বাগত জানাবেন। এক হাতে দলীয় পতাকা, অন্য হাতে ফুল নিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানানো হবে।’
দলীয় সূত্র জানায়, অভ্যর্থনার জন্য মূল দায়িত্বে থাকবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি। পাশাপাশি যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলসহ অন্য সংগঠনের নেতাকর্মীদেরও সক্রিয়ভাবে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
- আরও পড়ুন
- খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা ঘিরে বিএনপিতে উচ্ছ্বাস, প্রস্তুতি
সরানো হলো খালেদা জিয়ার ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে
বিএনপির সব স্তরের নেতাকর্মীকে বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকার নির্দেশ
৫ মে দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া, সঙ্গে আসছেন জোবায়দা
দলটির একজন নেতা বলেন, ‘চার মাস ধরে নেত্রী বিদেশে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার ফিরে আসা আমাদের কাছে শুধু রাজনৈতিক ঘটনা নয়, আবেগেরও বিষয়।’
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সোমবার (৫ মে) যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফেরার কথা ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার। তার দেশে ফেরার আগেই ওই ফ্লাইট থেকে দুজন কেবিন ক্রুকে সরিয়ে দিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ। ওই দুই কেবিন ক্রু হলেন আল কুবরুন নাহার কসমিক ও মো. কামরুল ইসলাম।
বিমানের প্রশাসন বিভাগ ও গোয়েন্দা সূত্র জানায়, কেবিন ক্রু আল কুবরুন নাহার কসমিক ও মো. কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ আছে। তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের ঘনিষ্ঠতা ছিল। নিরাপত্তাজনিত শঙ্কা ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কেএইচ/এমএএইচ/জেআইএম