তারেক রহমান
কয়েকজনের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দিতে মানুষ জুলাইয়ে শহীদ হয়নি
আশুলিয়ায় এক প্রতিবাদ সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান
পরাজিত বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী অপশক্তি রাষ্ট্র পরিচালনা ও রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ নিতে ওত পেতে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, সরকারের যে কেনো ভুল সিদ্ধান্ত দেশের গণতন্ত্র উত্তরণের যাত্রাপথকে সংকটে ফেলতে পারে। দেশের জনগণ কয়েকজন মানুষের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা তুলে দেওয়ার জন্য দেড় দশক ধরে নিশ্চয়ই আন্দোলন অব্যাহত রাখেনি, কিংবা জুলাইয়ের অভ্যুত্থানেও শহীদ হয়নি।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেলে এক প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় প্রতিবাদ সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার জুলাই অভ্যুত্থান-২০২৪: নারকীয় আশুলিয়া স্মরণে এই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। গত বছরের ৫ আগস্ট পুলিশের গুলিতে নিহতদের মরদেহ আশুলিয়ায় ভ্যানে করে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
তারেক রহমান বলেন, আমি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, শত শহীদের রক্তের বিনিময়ে পতিত পলাতক পরাজিত বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী অপশক্তি রাষ্ট্র রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হওয়ার সুযোগ নিতে ওত পেতে রয়েছে।
তিনি বলেন, সরকার এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বকে জনগণের মুখাপেক্ষী করা গেলে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন করা সম্ভব। একই সঙ্গে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করাও সম্ভব হবে। দেশের সর্বস্তরের জনগণ কয়েকজন মানুষের হাতে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা তুলে দেওয়ার জন্য দেড় দশক ধরে নিশ্চয়ই আন্দোলন অব্যাহত রাখেনি, কিংবা জুলাইয়ের অভ্যুত্থানেও শহীদ হয়নি।
- আরও পড়ুন
- হৃদরোগে আক্রান্ত জামায়াত আমিরকে বাইপাস সার্জারির পরামর্শ
- চাঁদাবাজদের তালিকা প্রকাশের দাবি ফারুকের
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, জনগণ রাষ্ট্র এবং সরকারে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্যই স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদকে হটিয়েছে, জীবন উৎসর্গ করেছে। সুতরাং সরকারে যখন যারাই থাকুক কেউ সরকার পরিচালনা করতে চাইলে তাদের অবশ্যই নাগরিকদের কথা শুনতে হবে। প্রতিটি নাগরিকের আশা, ভাষা বুঝতে হবে। কেউ জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হতে হলে তাকে অবশ্যই জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হবে। বিএনপি জনগণের ক্ষমতায়ানের এই রাজনীতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শহীদদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চায়।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ হটিয়ে জনগণ রাষ্ট্র এবং সরকারে নিজেদের অধিকার নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে রাষ্ট্র পরিচালনার ভার অর্পণ করেছে। এখন জনগণের মালিকান জনগণের হাতে দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের একটি অংশ নানান অপকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে।
তারেক রহমান আরও বলেন, আমি আগেও বলেছি শহীদরা কিন্তু শুধুমাত্র একটি সংখ্যা নয়। একটি প্রাণের সমাপ্তির অর্থ একটি পরিবারের মৃত্যু, একটি স্বপ্ন সম্ভাবনার অবসান। তবে আপনাদের সন্তান স্বজনের শহীদ মৃত্যু দেশ এবং জনগণকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছে। দেশ আপনার শহীদ সন্তানের কাছে ঋণী।
তিনি বলেন, প্রতিটি শহীদ পরিবারের প্রতি রাষ্ট্র এবং সরকারের দায়িত্ব রয়েছে। কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষ যাতে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শহীদদের অবদান নিয়ে গর্ব করতে পারে, শ্রমজীবী কর্মজীবী শহীদ পরিবারের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সদস্যরা যাতে তাদের স্বজনদের শহীদ মৃত্যু নিয়ে গৌরব করতে পারেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক। ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান প্রমুখ।
কেএইচ/কেএসআর/এএসএম
সর্বশেষ - রাজনীতি
- ১ নির্বাচন বিলম্বিত না করার লক্ষ্যেই বিএনপি প্রার্থীরা মাঠে রয়েছেন
- ২ কিন্ডারগার্টেনের জন্য সরকারি নীতিমালার আশ্বাস আমিনুল হকের
- ৩ বিএনপি সবসময়ই প্রতিশ্রুতির রাজনীতিতে বিশ্বাসী: রিজভী
- ৪ খালেদা জিয়াকে দেখতে আবারও এভারকেয়ারে ডা. জুবাইদা
- ৫ চিকিৎসকরা ‘সেফ টু ফ্লাই’ সার্টিফাই করলেই লন্ডন নেওয়া হবে খালেদাকে