শাহবাগে তীব্র যানজট, দুর্ভোগে রোগী ও স্বজনরা
জুলাই আন্দোলনের বর্ষপূর্তিতে শাহবাগে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সমাবেশে অংশ নিয়েছেন হাজার হাজার নেতাকর্মী। এদিকে, ওই এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ ৩টি হাসপাতাল রয়েছে। ফলে নেতাকর্মীদের ভিড়ে হাসপাতালে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা বিপাকে পড়েছেন।
সকাল থেকে সমাবেশের প্রস্তুতি ও হকারদের ভিড়ের কারণে শাহবাগের চার রাস্তার মোড়ে আংশিকভাবে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে বাংলামোটর ও ফার্মগেট থেকে ঢাকা মেডিকেলের দিকে যাওয়া এবং ঢাকা মেডিকেল থেকে বেরিয়ে অন্যান্য গন্তব্যে যাওয়ার অ্যাম্বুলেন্সগুলো শাহবাগে এসে বাধার মুখে পড়ছে। রোগী ও তাদের স্বজনরা পড়ছেন চরম ভোগান্তিতে।
গাজীপুর থেকে আসা এক রোগীর স্বজন এমদাদুল হক বলেন, আমরা ফার্মগেট হয়ে বাংলামোটর দিয়ে ঢাকা মেডিকেলের দিকে যাচ্ছিলাম। রাস্তার এক পাশ খোলা দেখে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে এসেছি, কিন্তু শাহবাগ মোড়ে এসে দেখি মিডিয়ার গাড়ি, ক্যামেরা, ট্রাক এবং হকারদের গাড়িতে পুরো রাস্তা আটকে আছে। এতে আমাদের অ্যাম্বুলেন্সসহ অন্যান্য যান আটকে যায়, রোগীর কষ্ট আরও বেড়ে যায়।

ঢাকা মেডিকেল থেকে রোগী নিয়ে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্স চালক রতন বলেন, ইমার্জেন্সি গেট থেকে শাহবাগের দিকে বের হই। রাস্তায় ভিড় না দেখে এগিয়ে এলেও মোড়ে এসে দেখি এক ট্রাক আড়াআড়ি করে দাঁড় করানো হয়েছে, ক্যামেরার স্ট্যান্ড রাখা হয়েছে আর হকারদের গাড়ি পুরো রাস্তা দখল করে রেখেছে। এতে এক পাশে রাস্তা খোলা থাকলেও চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
- আরও পড়ুন:
- ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখর শাহবাগ
ছাত্রদলের সমাবেশে অংশ নিতে আসছেন নেতাকর্মীরা
নেতাকর্মীদের জন্য শাহবাগে বড় পর্দা ও প্রজেক্টর বসাচ্ছে ছাত্রদল
তিনি আরও বলেন, যদি রাস্তা আংশিক বন্ধই রাখতে হয়, তাহলে বাকি পাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। আর যদি পুরোপুরি বন্ধ রাখতে হয়, তাহলে শুরু থেকেই বিকল্প পথ দেখিয়ে দেওয়া উচিত। এতে অন্তত রোগীবাহী গাড়িগুলো দিকনির্দেশনা পেতো।
অনেকে অভিযোগ করেছেন, শাহবাগের মোড়ে মিডিয়ার গাড়ি ও ছাত্রদলের প্রস্তুতির পাশাপাশি হকারদের দোকানও রাস্তার জায়গা দখল করে ফেলেছে। এতে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন জরুরি চিকিৎসা সেবাপ্রত্যাশী মানুষ।
রাজনৈতিক কর্মসূচি গণতন্ত্রের অংশ হলেও তা যেন জনদুর্ভোগের কারণ না হয়, সে বিষয়ে আয়োজকদের আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন, বলছেন অনেকে।
ইএআর/এসএনআর/জেআইএম