ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও ১ দফায় জাপার সমর্থন ছিল

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০১:২১ পিএম, ০৮ আগস্ট ২০২৫

জুলাইয়ের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জাতীয় পার্টির (জাপা) সমর্থন ছিল বলে জানিয়েছেন দলটির জি এম কাদেরের বিরোধী অংশের নেতা ও সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের এক দফা দাবিতেও জাপার সমর্থন ছিল বলে দাবি করেন তিনি।

শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকালে রাজধানীর গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। শনিবার (৯ আগস্ট) জাপার একাংশের দশম জাতীয় সম্মেলন ঘিরে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, গত বছরের ২৯ জুলাই এক সভায় পার্টি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন ব্যক্ত করে। পরে সরকার পতনের এক দফাতেও জাপার সমর্থন ছিল। আমরা কোনো অন্যায়ের সহযোগী ছিলাম না।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, বলা হয় আমরা আওয়ামী লীগের সহযোগী। ২০০৮ সালে সবাই নির্বাচন করেছে। ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচন করেনি। সেই সময় এরশাদ সাহেবকে নিয়ে আমি নিজে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করেছিলাম একসঙ্গে নির্বাচন করা যায় কি না। তার অর্থ কী, তার অর্থ হল আমরা আওয়ামী লীগ সাপোর্ট করি নাই। পরে বিএনপি রাজনৈতিক কারণে ভোট করে নাই। আমরা নির্বাচন করি, তবে ২০১৪ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচন তারা করেছে। ২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচন করেছে। ২০২৪ সালে সিটি করপোরেশন নির্বাচন যেগুলো হয়েছে সেগুলোর পদ তারা এখন চাচ্ছে।

ছাত্র-আন্দোলন সমর্থন দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ২৯ জুলাই পার্টির প্রেসিডিয়াম সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সমর্থন দিয়েছিলাম। ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই সমর্থন দিয়েছিল। এমন কী ১ পয়েন্ট ডিমান্ড ও সাপোর্ট করেছি। আমার কাছে কাগজ আছে। বলা হয় আমরা সহযোগী, বিশ্বাস করি নিয়মতান্ত্রিক ভাবে; দেশে সরকার তখন বৈধ সরকার, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকার যখন নির্বাচন দিয়েছি, সেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।

নিজেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা ও কাউন্সিল করার প্রত্যয়:

আগামীকাল জাতীয় পার্টির কাউন্সিল করার ঘোষণা দেন জাপা এই নেতা। পাশাপাশি নিজেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা দেন তিনি।

আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, সম্মেলন করছি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হয়েছি। গঠনতন্ত্রের ২০ এর ২ এর খ, যেখানে লেখা আছে চেয়ারম্যানের দীর্ঘ সময়ের অনুপস্থিতিতে সিনিয়র কো চেয়ারম্যান হবেন ভারপ্রাপ্ত কো চেয়ারম্যান। যদি সিনিয়র কো চেয়ারম্যান না থাকেন, তাহলে প্রেসিডিয়ামের সদস্যদের মধ্য থেকে একজনকে মনোনীত করতে পারবেন। সেই হিসেবে আমি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, আদালতের আদেশের জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। জাপা চেয়ারম্যান যাদের অপসারণ করেছেন আদালতের আদেশে আমরা স্বপদে বহাল আছি। জি এম কাদেরের সাংগঠনিক কার্যক্রমে বিধিনিষেধ রয়েছে। এই আদেশ জারি হয়েছে ৩১ জুলাই, এখন ও তারা আদালতে কোন আপিল করেন নাই।
আমরা এমন একটা পর্যায়ে এসেছি যে আমাদের আইনি পথ বেছে নিয়ে সম্মেলনটা করছি। আগামীকালকের সম্মেলনের বিষয়টি আমরা নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানিয়েছি। ইসিকে পর্যবেক্ষক পাঠাতে অনুরোধ করেছি।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র দেশে করবো পার্টিতে গণতন্ত্র আনবো না, এটা হবে না। আমরা দলে গণতন্ত্র আনবো। যারা পূর্বে দলছুট হয়েছে তাদের একত্রিত করে ঐক্যবদ্ধ জাতীয় পার্টি করবো।

কো চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, আমরা এমন এক সময়ে দাঁড়িয়ে আছি, যখন দেশের মানুষ ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যে সাহস, যে সংগ্রাম, যে পরিবর্তনের প্রত্যাশা দেখেছিল— সেই আশাকেই বাস্তবতায় রূপ দিতে জাতীয় পার্টি নতুন অভিযাত্রায় নেমেছে।

সংবাদ সম্মেলনে আর উপস্থিত ছিলেন জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রমুখ।

এসএম/এমকেআর/এমএস