নীলনকশার নির্বাচনের ষড়যন্ত্র চলছে: আব্দুল্লাহ তাহের
৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ
কোনো একটি দলের লোকদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়ে নীলনকশার নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লাহ মো. তাহের। এতে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখছেন না তিনি।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাজধানীর মৎস্য ভবন মোড়ে পিআর, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তিসহ ৫ দাবিতে জামায়াত আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গণভোট এখন সবার ঐক্যবদ্ধ একটি সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখনো কিন্তু একটা প্যাঁচ খেলার চেষ্টা করছে। সেটা হচ্ছে, বলছে যে গণভোট ও জাতীয় ভোট একসঙ্গে হতে হবে।
গণভোট আগে হতে হবে এমন দাবি উত্থাপন করে তাহের আরও বলেন, গণভোটে অনেক সংস্কার প্রস্তাব আছে যেটি পাস হলে জাতীয় নির্বাচনের প্যাটার্ন, নির্বাচনের ধরণ, নির্বাচনের আওতা, নির্বাচনের পয়েন্ট অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়ে যায়। তারা জনরোষের ভয়ে গণভোটে একমত হয় বাধ্য হয়ে। আবার ওইটাকে নিয়ে এখানে প্যাঁচ খেলার চেষ্টা করছে।’
জামায়াতের এই নায়েবে আমির বলেন, এ দেশের মানুষ সংস্কার চায় এবং সংস্কারের জন্য একটি কমিশন করা হয়েছিল। আমরা বহুদিন ধরে এখানে অনেক আলাপ-আলোচনা করেছি। একটি দল কথায় বলে ‘আমরা সংস্কার চাই’, আবার সংস্কারের ঐকমত্যে বাস্তবায়ন করতে গেলে বাধা দেয়।

তিনি বলেন, যদি জনগণ ফাইনালি দেখে সংস্কার আর হচ্ছে না, তাহলে সংস্কারে সরকারকে বাধ্য করার জন্য যেভাবে মাঠে নামা দরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সেভাবে মাঠে নামবো।’
তাহের বলেন, আমরা দেখছি জুলাই বিপ্লবের যে জাতীয় অর্জন, সেই জাতীয় অর্জনকে কোনো কোনো দল বা গোষ্ঠী একটি দলীয় অর্জনে রূপান্তরিত করে জুলাইয়ের চেতনাকে টেনে-হিঁচড়ে ফেলে দিয়ে আবার সেই দলীয় স্বার্থ হাসিলের জন্য যেনতেনভাবে একটি নির্বাচন করার ভয় দেখাচ্ছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের সুষ্ঠুতার জন্য সরকারকে নিরপেক্ষ হতে হয়, প্রশাসনকে নিরপেক্ষ হতে হয়। সিভিল ও পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে ভূমিকা রাখতে হয়। কিন্তু আমরা দেখছি, সেই নিরপেক্ষ প্রশাসন ও সিভিল এবং পুলিশ প্রশাসনকে আবার দলীয়করণ করার জন্য এক মহা ষড়যন্ত্র চলছে।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম মা’ছুম, আব্দুল হালিম, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল প্রমুখ।
আরএএস/এমআইএইচএস/এমএস