সন্ত্রাস-চাঁদাবাজের সঙ্গে কোনো আপস নেই: মির্জা আব্বাস
রাজধানীর মালিবাগের আবুজর গিফারী কলেজের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস/ছবি: সংগৃহীত
সন্ত্রাস-চাঁদাবাজ ও মাদকের সঙ্গে কোনো আপস নেই বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, ‘মাদকসেবীর সংখ্যা বেড়েছে। আজকে খেলার মাঠ নেই, বিনোদনের জায়গা নেই, মুরুব্বিদের সময় কাটানোর জন্য কোনো ক্লাব নেই। আওয়ামী লীগ খেলার জায়গায়সহ সবকিছু দখলে নিয়ে দালান বানিয়ে ফেলেছে। আমি নির্বাচিত হলে এগুলো মুক্ত করবো।’
১২ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা এবং এলাকার মুরুব্বিদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন। রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মালিবাগের আবুজর গিফারী কলেজের কনফারেন্স রুমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমি যেখানে মাঠ ও বিনোদনের জায়গা দিয়েছিলাম—সেগুলোও সব দখলে নিয়েছে এই আওয়ামী লীগ। আসল কারণটা হচ্ছে যারা এ এলাকার নন, তাদের-তো এই এলাকার প্রতি মায়া থাকবে না। তিনি বলেন, ভোট পাওয়ার জন্য মিথ্যা আশ্বাস দেই না। ভোটের পর অনেককে খুঁজে পাওয়া যায় না। আমার সে সুযোগ নেই। আমি এলাকারই সন্তান।
মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে ১৭ বছর পর এই কলেজে আসলাম। আসার সময় দেখলাম অনেক কিছুই লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। শেষ করে দিয়েছে। দখল করা হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। এ এলাকায় আগে মাদক ছিলো না। মাদক সিন্ডিকেট অনেক বড়। তবুও তা নির্মূল করতে হবে। এতে এলাকাবাসী আমাকে সহযোগিতা করবেন। একজন মাদকসেবী শুধু পরিবারের নয়, সমাজের সমস্যা। আপনাদের যেকোনো সমস্যায় আমাকে কল দেবেন, কথা দিচ্ছি সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। মনে রাখতে হবে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি এবং মাদকের সঙ্গে কোনো আপস নেই।
ঢাকা-৮ আসনে বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য (এমপি) প্রার্থী আব্বাস আরও বলেন, ঢাকা মহানগরকে জলাবদ্ধতা মুক্ত করতে খাল দখলমুক্ত করতে হবে। বিভিন্ন জলাশয় আজ দখল হয়ে গেছে। ময়লা পানি বের হওয়ার জায়গা বন্ধ হয়ে গেছে। এগুলোকে মুক্ত করতে হবে।
সাবেক কমিশনার সাজ্জাদ জহিরের সভাপতিত্বে ও মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নেতা ফজলে রুবায়েত পাপ্পুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বক্তব্য দেন।
কেএইচ/এমএমকে/এমএস