ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগর শিবিরের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক | চট্টগ্রাম | প্রকাশিত: ১২:২৬ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

তেজগাঁও কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রদল কর্তৃক শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করেছে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখা।

শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজ পরবর্তী চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা থেকে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে চকবাজার প্যারেড কর্নারে ছাত্র সমাবেশে এসে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি তানজির হোসেন জুয়েল ও সেক্রেটারি মুমিনুল হক।

তানজির হোসেন জুয়েল বলেন, আমরা মনে করেছিলাম ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর ছাত্র হত্যার প্রতিবাদে রাজপথে নামতে হবে না, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ থাকবে কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক আজকে রাজপথে নামতে হয়েছে। আমরা দেখছি ছাত্রদল ছাত্রলীগের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আধিপত্য বিস্তারের ষড়যন্ত্র করছে।

তিনি আরও বলেন, ছাত্রদল চট্টগ্রামের পাচঁলাইশে অবস্থিত টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট এবং বাকলিয়া সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের মোবাইল চেক করে শিবির শনাক্তের চেষ্টা করছে যা বিগত ফ্যাসিবাদী সময়ে ছাত্রলীগকে করতে দেখেছিলাম। যদি এ কার্যক্রম আপনারা অব্যাহত রাখেন তাহলে আপনারা কাগজে কলমে নিষিদ্ধ হওয়ার আগে ছাত্র সমাজের কাছ থেকে নিষিদ্ধ হয়ে যাবেন।

মুমিনুল হক বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তীতে ছাত্রদল সর্বপ্রথম খুনের রাজনীতি শুরু করেছে। যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জ্ঞান অর্জন করে নিজেকে আলোকিত করে মনুষ্যত্বকে জাগিয়ে তোলার কথা সেখানে ছাত্রদল লাশের রাজনীতি করছে। আবার চাঁদাবাজির ভাগের টাকা নিয়ে সংঘর্ষে তাদের নিজেদের নেতাকর্মীদের খুন করতে দ্বিধাবোধ করে না। ছাত্রশিবির যেভাবে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করছে আপনারাও শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ করুন তাহলে ছাত্র সমাজ আপনাদের পছন্দ করবে।

তিনি আরও হুঁশিয়ার করে বলেন, আপনারা চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ না করলে আমরা ছাত্র সমাজকে সাথে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক খুররম মুরাদ, অর্থ সম্পাদক গোলাম আজম, অফিস সম্পাদক আরফাত হোসেন।

সমাবেশে নেতাকর্মীদের মুখে ‌‘নারায়ে তাকবীর-আল্লাহু আকবর, যেই হাত মানুষ মারে সেই হাত ভেঙে দাও, আমার ভাই কবরে খুনি কেন বাহিরে, চাঁদাবাজের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ইত্যাদি স্লোগান দেওয়া হয়।

এমআরএএইচ/এমআরএম/এমএস