শেখ হাসিনা না ফিরলে স্বৈরাচারের পতন হতো না : শিল্পমন্ত্রী
ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে স্বৈরশাসনের বিদায় হতো না। জীবন বাজি রেখে শেখ হাসিনা এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে ‘রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম’ শীর্ষক গ্রন্থের সংবাদচিত্র প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে যুবলীগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এসেই বলেছিলেন, স্বৈরশাসনের চিরবিদায় না হলে বাংলাদেশের মানুষ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই স্বৈরশাসনের বিদায় হয়।
আমির হোসেন আমু বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার চেতনা মুছে দেয়ার অপচেষ্টা চালায়। জিয়া ‘হা-না’ ভোটের মধ্য দিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা বৈধ করে নেয়। সে সংবিধান সংশোধন করে সামরিক ক্ষমতার বৈধতা প্রদান করে, যা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। জিয়াই এদেশে খুনের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। শেষ বিচারে জিয়াও রক্ষা পায়নি। জিয়ার সামরিক ক্ষমতার হাত ধরে আরেক স্বৈরশাসক ক্ষমতায় এসেও টিকতে পারেনি। শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই রাষ্ট্রবিরোধী সকল কর্মকাণ্ড নস্যাৎ হয়েছে।
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, সমুদ্র বিজয়, সীমান্ত বিজয়, গঙ্গাচুক্তি, শান্তি চুক্তির মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা বিশ্ব নেতার খ্যাতি পেয়েছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মডেল।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে হলে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। আর এক্ষেত্রে যুব সমাজই পারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে।
যুবলীগ সভাপতি মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বেসরকারি টিভি চ্যানেল আরটিভি’র চেয়ারম্যান মোরশেদ আলম, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুণ-অর রশিদ বক্তব্য রাখেন।
এএসএস/আরএস/আরআই