বাইরে থেকে কিনে এবার খাদ্য ঘাটতি মেটানোর সুযোগ থাকবে না
করোনাভাইরাস মহামারির সংক্রমণ ঠেকাতে দেশের সব মানুষকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে। গৃহবন্দী কর্মহীন ক্ষুধার্ত মানুষদের জন্য ন্যূনতম খাবার নিশ্চিত করা এবং তাদের চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ কৃষক সংগ্রাম সমিতি। শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সংগঠনটির সভাপতি হাফিজুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির ভিত্তি হচ্ছে কৃষি। করোনার আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে যদি কৃষিকাজ বন্ধ থাকে, বাইরে থেকে কৃষির জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী না আনা যায়, তাহলে দ্বিতীয় ভয়াবহ বিপর্যয়টি শুরু হবে। প্রায় সব রাষ্ট্রে খাদ্য উৎপাদনের ঘাটতি থাকার আশঙ্কা রয়েছে এবার। ফলে বাইরে থেকে খাদ্য কিনে ঘাটতি মেটানোর সুযোগ থাকবে না।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিপর্যয়ের মধ্যেই কৃষিকাজ বা চাষাবাদ চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট বাস্তব পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশে আগে কৃষকরা বীজ উৎপাদন করতেন, এখন আর তা করেন না। বীজ কিনে চাষাবাদ করা হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে বীজ ঠিকমতো পাওয়া না যাওয়ায় বিপদ আরও বাড়বে। এমতাবস্থায় সম্ভাব্য মন্দা বা দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় এখনই কৃষক ও খামারিদের ফসল-পণ্য বিপণনে সরাসরি সরকারি তত্ত্ববধান জরুরি। চলতি মৌসুমে ফসল কেটে ঘরে তুলতেও সহায়তা দিতে হবে সরকারবে। ফসল সরাসরি কৃষকের নিকট থেকে সরকারকে ক্রয় ও আগামী ফলনের জন্য বিনাসুদে ঋণ, বীজ, সার ও পর্যাপ্ত সেচ ব্যবস্থাপনারও আহ্বান জানান তারা।
তারা বলেন, বাংলাদেশ যথাসময়ে সতর্ক হতে পারেনি। করোনার সঙ্গে লড়তে করোনার আগে হাঁটতে হবে, পেছনে নয়। কিন্তু সবাই করোনার পেছনে হেঁটে চলছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ মহামারির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। বিভিন্ন দেশের দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে সংক্রমণের হার বিভিন্ন বিপর্যস্ত দেশের চেয়ে বেশি। বিপদ শুধু করোনার আক্রমণ নয়, রয়েছে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা। করোনার আক্রমণে স্বাভাবিক জীবন প্রণালি ভেঙে পড়েছে, সবকিছুর ওপর এর প্রভাব পড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ, বিদুৎ, পানি, গ্যাস, প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ সচল রাখতে হবে। এসব সেবা সচল রাখতে গিয়ে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা যেন সংক্রমণের শিকার না হয়, সেদিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
এফএইচএস/এমএফ/এমএস
সর্বশেষ - রাজনীতি
- ১ বিজয়ের অঙ্গীকার হোক বিভাজন ও হিংসা ভুলে মানুষের পাশে দাঁড়ানো
- ২ মঙ্গলবার গুলশানে উদ্বোধন হচ্ছে বিএনপির নির্বাচনি কার্যালয়
- ৩ হাসিনাসহ প্রত্যেক খুনিকে বাংলাদেশে হস্তান্তর করতে হবে: আখতার
- ৪ ২৪ না হলে আমাদের মুখ দিয়ে নির্বাচন নামক শব্দ বের হতো না
- ৫ অধিকার প্রতিষ্ঠার নির্বাচনের মিছিলে আমিও আপনাদের সঙ্গে থাকবো