ফরিদপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত
সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয়তার কারণে ফরিদুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুবলীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নির্দেশে সাংগঠনিক কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয়তার কারণে ফরিদপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি আজ (২৩ আগস্ট) থেকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো।
সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখল ও টেন্ডারবাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৭ জুলাই ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের কাছে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ৬০ সহযোগীর নাম বলেছিলেন।
বরকত-রুবেলের দেয়া তালিকার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এ এইচ এম ফোয়াদ, ফরিদপুর শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিন ওয়াজেদ, শহর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম, কামরুল হাসান ডেভিড ও মোহাম্মদ আলী মিনার, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, বরকতের চাচাতো ভাই ও শহর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর ইকবাল হারুন মণ্ডল।
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) করা দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহামুদ শামীমকে গত শুক্রবার বিকেলে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুলকে গ্রেফতার করে।
এ এইচ এম ফোয়াদকে আহ্বায়ক ও অ্যাডভোকেট স্বপন পাল ও খন্দকার সিরাজুস সালেকিনকে যুগ্ম-আহ্বায়ক করে ২১ সদস্যের এই কমিটি গঠন করা হয় ২০১৮ সালের মার্চে। যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তৎকালীন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ এই কমিটির অনুমোদন করেন।
এইউএ/এমএসএইচ