ভিডিও EN
  1. Home/
  2. রাজনীতি

বিএনপির কাউন্সিল ‘কথিত’ : নাসিম

প্রকাশিত: ১১:৩১ এএম, ১৮ মার্চ ২০১৬

বিএনপির আসন্ন ষষ্ঠ কাউন্সিলকে ‘কথিত’ বলে আখ্যায়িত করেছেন দলটির পুনর্গঠনের উদ্যোক্তা ও সংকটকালীন মুখপাত্র হিসেবে দাবিদার কামরুল হাসান নাসিম। শুক্রবার বিকেলে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নাসিম বলেন,  এখানে দলের পক্ষ থেকে ব্যক্তি বিশেষের ডাকা কাউন্সিল ‘কথিত’ হলেও সারাদেশের বড় একটা অংশের নেতাকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এই কাউন্সিল প্রতিহত করার চেষ্টা করি নাই। এক কথায় কাউন্সিল ‘কথিত’ হলেও ঠেকানোর চেষ্টায় উৎসাহিত হই নাই।

তিনি বলেন, দলের সব পর্যায়ের সমর্থনকে বিবেচনায় এনে কাউন্সিলরদের আবেগে আঘাত করে দলীয় বিপ্লবের চলমান প্রক্রিয়াকে অন্তত ১৯ মার্চ ২০১৬ পর্যন্ত স্থগিত করেছি বা রেখেছি। কিন্তু বাস্তবতা হলো, গেল ২০ বছরের কাউন্সিলরদের মাধ্যমেই দল পুনর্গঠন করা হবে এবং দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই বসবে জাতীয়তাবাদী জনতার উচ্চ আদালত।

নাসিম বলেন, খুব স্পষ্ট করে দলের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, আমাদের দলের মধ্যকার গুণগত পরিবর্তন আসতে হবে। দলের অসুখ আছে ৫টি।

সেগুলো হলো- এক. জনস্বার্থে রাজনীতি না করা। দুই. জাতীয়তাবাদী থেকে জামায়াতেবাদী হয়ে পড়া। তিন. বিদেশি শক্তির উপর নির্ভরশীল হওয়া। চার. নাশকতাকে রাজনীতির হাতিয়ার করা।

পাঁচ. দল পরিচালনায় আমাদের দুই শীর্ষ নেত্রী নেতা খানিকটা কার্যত ব্যর্থ। রাজনৈতিক বিবেচনায় বাংলাদেশের রাজনীতির ‘নেতৃত্ব’ গুণ বিচারে প্রতিপক্ষ দলের প্রধান এবং আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফলত আমাদের মহান নেতা জিয়াউর রহমানের পরের ভার্সন।

অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চিন্তার জায়গাটাতে তাদের মধ্যকার বেশ কিছু মিল রয়েছে। এমন কি শাসন ব্যবস্থায় নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার কৌশলেও তারা একই পথের পথিক।

দলের পক্ষ থেকে আমি দাবি করছি, এখন যে ধরনের রাজনীতি করা হচ্ছে তা ব্যক্তি কেন্দ্রিক। নিজেদের করা সামাজিক অন্যায় (মামলা) থেকে পরিত্রাণের জন্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৬০/৭০টি আসন নিয়ে বিরোধী দল হওয়ার জন্যই বর্তমানের ‘অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ নেতৃত্ব’তাকিয়ে আছে। যা চলতে থাকলে বিএনপিকে দুর্বল করবে না শুধুই, নিজেদের সন্তানকে গলাটিপে হত্যা করার মতোই কিছুই হবে।

দলের পক্ষ থেকে বলছি, বিএনপি পুনর্গঠনে আমরা কতটুকু সহিষ্ণুতার পরিচয় রেখেছি তা গণমাধ্যম বলতে পারবে। এই বছরের শুরুতে ২ ও ১৭ জানুয়ারিতে দলীয় বিপ্লবের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মহড়ায় আমরা অহিংস থেকেছি। মার খেয়েছি, আমাদের সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের বস্তুবাদী অনুষঙ্গকে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের জন্য শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যেমন পুরো দেশের শাসনভার নিয়ে নিয়েছিলেন দলকে সঠিক পথে ফেরাতে- আমি তার চেয়েও দারুণ অভিলাষে থেকে নিকট সময়ের মধ্যে শুধু দল নয় রাজনৈতিক পরিক্রমায় আরো বড় কিছু করার খণ্ডকালীন নেতৃত্বে থাকছি ও থাকবো।

এমএম/এসকেডি/এমএস