গ্রিসে নৌকাডুবি, চার অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার
ফাইল ছবি
গ্রিসের লেসবোস দ্বীপের উপকূলে অভিবাসীবাহী একটি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্টগার্ড। নৌকাটিতে মোট ৩৮ জন অভিবাসী ও শরণার্থী ছিলেন বলে জানিয়েছে গ্রিক বন্দর পুলিশ।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকালে লেসবোসের গেরা উপসাগরের কাছে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ৩৪ জনকে জীবিত অবস্থায় কাছের উপকূল থেকে উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন কোস্টগার্ডের এক মুখপাত্র।
তিনি আরও জানান, নিহত ও জীবিতদের পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধার হওয়া অধিকাংশই সাব সাহারা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের নাগরিক।
গ্রিসের আধা-সরকারি সংবাদ সংস্থা এএনএ জানিয়েছে, অভিবাসীদের বহনকারী রাবারের নৌকাটি উপকূলের কাছাকাছি একটি পাথরে আঘাত করার পর ডুবে যায়। ঘটনার সময় এলাকায় ঘণ্টায় প্রায় ৬০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছিল এবং ঢেউয়ের উচ্চতা ছিল প্রায় দেড় মিটার।
উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের লেসবোসের আশ্রয় অভ্যর্থনা ও নিবন্ধন কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
এজিয়ান সাগরের তুরস্কের সীমানা ঘেঁষা লেসবোসসহ কয়েকটি গ্রিক দ্বীপ দীর্ঘদিন ধরেই যুদ্ধ ও দারিদ্র্য থেকে পালানো শরণার্থীদের ইউরোপে প্রবেশের অন্যতম প্রধান পথ। এসব বিপজ্জনক সমুদ্রযাত্রা প্রায়ই প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে।
গত এপ্রিলেও লেসবোস উপকূলে আরেকটি নৌকা ডুবে সাতজনের মৃত্যু হয়, যাদের মধ্যে তিনজন ছিলেন শিশু।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে গ্রিসে অভিবাসী আগমন বেড়েছে, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে ক্রিট দ্বীপে লিবিয়া উপকূল থেকে আগত নৌযানগুলোর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
অভিবাসন ঠেকাতে গ্রিস সরকার সম্প্রতি নীতিমালা আরও কঠোর করেছে। চলতি বছরের জুলাইয়ে দেশটি উত্তর আফ্রিকার দেশগুলো থেকে আগত অভিবাসীদের আশ্রয় আবেদন তিন মাসের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) ও ইউরোপ কাউন্সিলসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন।
এমআরএম/এএসএম