সিআইপি সম্মাননা পেলেন দুই মালয়েশিয়া প্রবাসী
দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) সম্মাননা পেয়েছেন মালয়েশিয়া প্রবাসী দুই বাংলাদেশি।
বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী অনিবাসী বাংলাদেশি ক্যাটাগরিতে সিআইপি সম্মাননা অর্জন করেন— কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ভুইয়া বাড়ির মো. রফিকুল ইসলাম ভুইঁয়ার ছেলে, মালয়েশিয়া প্রবাসী রনি ভুইঁয়া এবং কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার কেশেরা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে, মালয়েশিয়া প্রবাসী মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় তিনটি ক্যাটাগরিতে মোট ৮৬ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে ‘এনআরবি সিআইপি (বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি)’ হিসেবে নির্বাচিত করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এদিন প্রবাসীদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
এ সংক্রান্ত গেজেট গত ১৪ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হয়। গেজেটে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচিতদের ২০২৬ সালের জন্য এই মর্যাদা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশের শিল্পখাতে সরাসরি বিনিয়োগকারী প্রবাসী বাংলাদেশি একজন, বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী ৭৫ জন এবং বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিকারক ক্যাটাগরিতে ১০ জন রয়েছেন।

গেজেট অনুযায়ী, নির্বাচিত সিআইপিদের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে সরকার অনুমোদিত পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে। এই পরিচয়পত্রের মেয়াদকালে তারা বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের অনুমতি পাবেন এবং সংশ্লিষ্ট নীতি নির্ধারণী কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্য বিবেচিত হবেন।
এছাড়া দেশ ও বিদেশে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অগ্রাধিকার, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ, বাংলাদেশে অবস্থানকালে বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান ও সিটি করপোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।
ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেল, সড়ক ও জলপথে আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও অগ্রাধিকার সুবিধা পাবেন সিআইপিরা। পাশাপাশি সিআইপি, তার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধা প্রাপ্তিতেও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এমআরএম/এমএস