ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

শুক্রবারে মারা গেলে কি কবরের আজাব মাফ হয়ে যায়?

ইসলাম ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:৪৪ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রশ্ন: শুক্রবারে মৃত্যুর বিশেষ কোনো ফজিলত আছে? অনেকে বলেন শুক্রবারে মারা গেলে কবরের আজাব মাফ হয়ে যায় এটা কি ঠিক?

উত্তর: হাদিসে এসেছে, শুক্রবার বা জুমার দিন মৃত্যুবরণকারীকে আল্লাহ তাআলা কবরের ফেতনা বা আজাব থেকে বাঁচিয়ে রাখবেন। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, যে মুসলমান জুমার দিন কিংবা জুমার রাতে মৃত্যুবরণ করবে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা তাকে কবরের ফেতনা থেকে বাঁচিয়ে রাখবেন। (সুনানে তিরমিজি: ১০৯৫)

এ হাদিস থেকে বোঝা যায়, শুক্রবারে কোনো মুমিন ও নেককার ব্যক্তির মৃত্যু হলে এটাকে তার সৌভাগ্যের আলামত হিসেবে দেখা যেতে পারে। আশা করা যেতে পারে যে, আল্লাহ তাআলা তার ওপর সন্তুষ্ট হয়েছেন, ইমানের সঙ্গে মৃত্যু দিয়েছেন, কবরের ফেতনা থেকে তাকে রক্ষা করবেন এবং আখেরাতেও তার পরিণতি ভালো হবে। যেহেতু কবর আখেরাতের প্রথম ঘাঁটি। কবরে ফেতনা থেকে বেঁচে গেলে আখেরাতেও বেঁচে যাওয়া সহজ হবে।

হজরত ওসমানের (রা.) আজাদকৃত গোলাম হানী (রহ.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ওসমান (রা.) যখন কোনো কবরের সামনে দাঁড়াতেন, তখন খুব কাঁদতেন। অশ্রুতে তার দাঁড়ি ভিজে যেত। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, আপনার কাছে জান্নাত-জাহান্নামের কথা আলোচনা করা হলে আপনি কাঁদেন না অথচ কবরের সামনে দাঁড়ালে এত কাঁদেন কেন? তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আখিরাতের মনজিলসমূহের মধ্যে প্রথম মনজিল হল কবর। যে ব্যক্তি এখানে মুক্তি পেয়ে যাবে তার জন্য পরবর্তী মনজিলসমূহ আরো সহজ হয়ে যাবে। আর যে ব্যক্তি এখানে মুক্তি পাবে না তার জন্য পরবর্তী মানজিলসমূহ আরও কঠিন হয়ে যাবে। (সুনানে তিরমিজি: ২৩১১)

ইসলামে শুক্রবার বা জুমার দিন দিনসমূহের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ। মহানবী (সা.) বলেন, দিনসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমার দিন। এই দিন আল্লাহ তাআলা আদমকে (আ.) সৃষ্টি করেছেন। তাকে দুনিয়াতে নামানো হয়েছে এই দিন। তার মৃত্যুও হয়েছে এই দিন। তার তাওবা কবুল হয়েছে এই দিন। এই দিনই কেয়ামত সংঘটিত হবে। মানুষ ও জিন ছাড়া এমন কোনো প্রাণী নেই, যা কেয়ামত কায়েম হওয়ার ভয়ে জুমার দিন ভোর থেকে সূর্য ওঠা পর্যন্ত চিৎকার করতে থাকে না। জুমার দিন একটা সময় আছে, কোনো মুসলিম যদি সে সময় নামাজ আদায় করে আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তাকে তা দান করবেন। (সুনানে আবু দাউদ: ১০৪৬, সুনানে নাসাঈ: ১৪৩০)

আরেকটি বর্ণনায় এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ এ দিনটিকে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিনরূপে নির্ধারণ করেছেন। তাই যে ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায় করতে আসবে সে যেন গোসল করে এবং সুগন্ধি থাকলে তা শরীরে লাগায়। মিসওয়াক করাও তোমাদের কর্তব্য। (সুনানে ইবনে মাজা: ৮৩)

ওএফএফ

আরও পড়ুন