ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

নামাজের সময়সূচি: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

ইসলাম ডেস্ক | প্রকাশিত: ১০:৩১ এএম, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

আজ সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ৮ রজব ১৪৪৭ হিজরি। ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো-

নামাজের সময়সূচি
> ফজর- ৫:২০ মিনিট।
> জোহর- ১২:০৫ মিনিট।
> আসর- ৩:৪৩ মিনিট।
> মাগরিব- ৫:২৬ মিনিট।
> ইশা- ৬:৪২ মিনিট।

> আজ সূর্যাস্ত- ৫:২২ মিনিট।
> আজ সূর্যোদয়- ৬:৪০ মিনিট।

মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর
> ফজর- ৫:২১ মিনিট।
> সূর্যোদয়- ৬:৪০ মিনিট।

বিভাগীয় শহরের জন্য উল্লেখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগে সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, তা হলো-

বিয়োগ করতে হবে-
> চট্টগ্রাম: -০৫ মিনিট।
> সিলেট: -০৬ মিনিট।

যোগ করতে হবে-
> খুলনা: +০৩ মিনিট।
> রাজশাহী: +০৭ মিনিট।
> রংপুর: +০৮ মিনিট।
> বরিশাল: +০১ মিনিট।

(সূত্র: ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

কোন ওয়াক্তে কত রাকাত নামাজ ফরজ, কত রাকাত সুন্নত?

প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্তে মোট ১৭ রাকাত নামাজ ফরজ, ১২ রাকাত নামাজ সুন্নতে মুআক্কাদা (যা নবীজি (সা.) নিয়মিত পড়তেন)। এ ছাড়া পাঁচ ওয়াক্তে কিছু সুন্নতে যায়েদা (যা নবীজি (সা.) মাঝে মাঝে পড়তেন) নামাজও রয়েছে। আর ইশার পর সুবহে সাদিকের আগে ৩ রাকাত বেতরের নামাজ ওয়াজিব। ফরজ ও ওয়াজিব নামাজ আদায় করা অপরিহার্য, ছেড়ে দিলে গুনাহ হবে। কখনও অনিচ্ছায় ছুটে গেলে পরে কাজা করে নিতে হবে। সুন্নতে মুআক্কাদা ও যায়েদা নামাজ আদায় করলে সওয়াব হবে, আদায় না করলে গুনাহ হবে না।

এখানে আমরা পাঁচ ওয়াক্তে ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নত নামাজের রাকাতসংখ্যা উল্লেখ করছি:

ফজর
ফজরের ফরজ নামাজ ২ রাকাত। ফরজের আগে ২ রাকাত নামাজ সুন্নতে মুয়াক্কাদা।

জোহর
জোহরের ফরজ নামাজ ৪ রাকাত। ফরজের আগে ৪ রাকাত ও পরে ২ রাকাত নামাজ সুন্নতে মুয়াক্কাদা।

আসর
আসরের ফরজ নামাজ ৪ রাকাত। ফরজের আগে ৪ রাকাত নামাজ সুন্নতে যায়েদা।

মাগরিব
মাগরিবের ফরজ নামাজ ৩ রাকাত। ফরজের পর ২ রাকাত নামাজ সুন্নতে মুয়াক্কাদা।

ইশা
ইশার ফরজ নামাজ ৪ রাকাত। ফরজের আগে ৪ রাকাত নামাজ সুন্নতে যায়েদা, ফরজের পর ২ রাকাত নামাজ সুন্নতে মুআক্কাদা।

ইশার ফরজের ও সুন্নতের পর থেকে সুবহে সাদিক পর্যন্ত ৩ রাকাত বেতরের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব।

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের গুরুত্ব
পাঁচ ওয়াক্তের ফরজ নামাজ ইসলামে ইমানের পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে পাঁচ ওয়াক্তে নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায় ফরজ ঘোষণা করে বলেন, নামাজ মুমিনের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে আদায় করা ফরজ। (সুরা নিসা: ১০৩)

ফরজ নামাজ ছেড়ে দেওয়াকে হাদিসে কুফুরি গণ্য করা হয়েছে। রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, আমাদের ও কাফেরদের মধ্যে যে পার্থক্য আছে তা হলো নামাজ। সুতরাং যে ব্যক্তি নামাজ ছেড়ে দিল, সে কুফুরি করল। (সুনানে তিরমিজি: ২১১৩) নবীজি (সা.) আরও বলেন, বান্দা আর শিরক ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে নামাজ ছেড়ে দেওয়া। (সহিহ মুসলিম: ১৪৮)

কেয়ামতের দিন নামাজের হিসাবই সবচেয়ে আগে নেওয়া হবে। রাসুল (সা.) বলেন, কেয়ামতের দিন বান্দার আমলের মধ্যে সবচেয়ে আগে তার নামাজের হিসাব নেওয়া হবে। সেটি যদি যথাযথ পাওয়া যায়, তবে সে সফল হয়ে গেলো এবং মুক্তি পেয়ে গেলো। আর যদি তাতে ত্রুটি পাওয়া যায়, তাহলে সে ব্যর্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত হলো। (সহিহ জামে সগির: ২০২০)

ওএফএফ/জেআইএম