ভিডিও EN
  1. Home/
  2. ধর্ম

দশমীর দিনে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মিশেছে বিষণ্নতার সুর

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:২৫ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ দিন আজ। আজ বিজয়া দশমী, দেবীদুর্গার বিদায়ের দিনে মণ্ডপে মণ্ডপে বাজছে বিষাদের সুর। শঙ্খ আর ঢাকের ধ্বনি ক্রমশ কমে যাচ্ছে। শেষবারের মতো ঠাকুর দেখতে মণ্ডপে ভিড় জমাচ্ছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। কিছুক্ষণ পরেই বিসর্জন, তাই তো শেষ মুহূর্তে মঙ্গল কামনায় দেবীদুর্গার প্রতি একটু বেশিই মিনতি পুণ্যার্থীদের।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল থেকেই পুরান ঢাকার শাঁখারী বাজার, বাংলা বাজার, ওয়ারী, শিংটোলার পূজামণ্ডপে চলছে বিজয়া দশমীর পূজা অর্চনা। সকাল ১০টা থেকে সনাতনীদের ভোগ প্রধান, মন্ত্রপাঠ, সিঁদুর পরিক্রমা, যাত্রা মঙ্গল, সিঁদুর খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পূজা অর্চনার পর একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। আত্মীয় স্বজন সবার জন্য মঙ্গল কামনা করছেন।

শাঁখারী বাজারের নবকল্লোল পূজাপণ্ডপের পুরোহিত জয়ন্ত চক্রবর্তী জাগো নিউজকে বলেন, পাঁচ দিন আমাদের রীতি অনুযায়ী ভালোভাবে পূজার সব কার্যক্রম শেষ করেছি। মা’কে আজ বিদায় দিবো। মা স্বর্গ থেকে এবার ঘোড়ায় করে পৃথিবীতে এসেছেন। আবার ঘোড়ায় করে আজ স্বর্গে চলে যাবেন। গত বছর তিনি ঘোড়ায় করে মর্তলোকে এসেছেন, নৌকায় করে স্বর্গে গেছেন। সকালে দেশের জন্য মঙ্গল কামনায় পূজা করা হয়েছে।

দশমীর দিনে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মিশেছে বিষণ্নতার সুর

আরও পড়ুন>> আজ বিজয়া দশমী, বিকেলে দেবী বিসর্জন

দশমীতে পূজা করতে মণ্ডপে এসেছেব অজিৎ দে। তিনি বলেন, একটা বছর আমরা মায়ের জন্য অপেক্ষা করি। মা আসবেন, আশীর্বাদ করবেন। মায়ের কাছে নিজেদের জন্য চাইবো। আজ মা চলে যাচ্ছেন, অত্যন্ত কষ্টের মধ্যে বিসর্জন দিতে হবে।

পুরোহিতকে সাহায্য করছিলেন অর্পনা ঘোষ। তিনি বলেন, এবারের পূজা খুব ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিদিন প্রসাদ বিতরণ করেছি সবাইকে। আজ মা চলে যাবেন, খুব খারাপ লাগছে। সকাল থেকে অঞ্জলি দিয়েছি। মা, দিদি, মাসি মিলে দেবীদুর্গাকে সিঁদুর দিয়েছি, সিঁদুর খেলেছি। আনন্দও লাগছে, আবার খারাপও লাগছে।

দশমীর দিনে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মিশেছে বিষণ্নতার সুর

তিনি বলেন, দশমীতে বিশেষ করে সবার জন্য পূজা করি। সবার মঙ্গল কামনা করি, শুভেচ্ছা জানাই। সমাজ থেকে অশুভ দূর হোক, সবাই যেন ভালো থাকে, বাচ্চাদের যেন ভগবান ভালো রাখেন সেই প্রার্থনা করেছি।

এদিন দুপুর ১২টার পর মণ্ডপ থেকে প্রতিমা নামানো কার্যক্রম শুরু হবে। বিসর্জনের জন্য সদরঘাটের বিনাস্মৃতি স্নানঘাটে মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। দেবী বিসর্জনের জন্য সার্বক্ষণিক দায়িত্বে থাকবে কোতোয়ালি ও সূত্রাপূর থানা পুলিশ।

আরএ/ইএ/জেআইএম