পুরান ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যায় নেটজুড়ে ক্ষোভ

সম্প্রতি রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে লাল চাঁদ সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ও পাথর মেরে হত্যা করা হয়েছে। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে নেটজুড়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন নাগরিকরা। তারা দ্রুত এর বিচার দাবি করেন। সরকারকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান।
কবি ও সাংবাদিক পলিয়ার ওয়াহিদ লিখেছেন, ‘আকাশে আগুন আগুন জোছনা/ জমিনে পাথর থেঁতলানো লাশ/ দম বন্ধ লাগে আল্লা.../ কেড়ে নাও অমৃত প্রশ্বাস।’
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
ব্যাংকার মো. রফিকুল ইসলাম সুমন লিখেছেন, ‘বর্তমান শাসনব্যবস্থায় জানমাল রক্ষার নিরাপত্তাহীনতার জন্য সাধারণ জনগণ দিন দিন অতিষ্ঠ হচ্ছে, এর দায়ভার কার?’
কবি ঋজু রেজওয়ান লিখেছেন, ‘সেই পুরানা খেলা বন্ধ করুন। নিজ দলের লোকেরা অপরাধ করলে তার দায় দল এড়াতে পারে? পারে না! এই দায় এড়ানোর চেষ্টাকে অপরাজনীতি বলে। আগে চিন্তা করুন, আপনার দলের লোকদের কীভাবে সামলাবেন? দুটি (পুরান ঢাকা ও খুলনা) হত্যাকাণ্ডের দুজন ভিক্টিম আপনার দলেরও নেতা। আর যারা হত্যাযজ্ঞে উল্লাস করল, তারাও আপনার দলের নেতা। বিধায় সব দায় তো আপনাদেরই। এ দায় থেকে বাঁচতে চাইলে আপনাদেরই চিন্তা করতে হবে। আমরা আপনার দলের একজন নেতাকে মানুষ হিসাবেই দেখি, তাই এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও দ্রুত বিচার চাই। এমন বিচার চাই, বিশ্বজিৎ হত্যাকারীদের মতো মামলা থেকে খালাস না যেন পায়।’
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
লেখক আব্দুল ওয়াজেদ লিখেছেন, ‘হে বর্বরতার এনোফিলিস মশা, তুই ধ্বংস হ, ধ্বংস হ, ধ্বংস হ।’
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
মো. মোসাদ্দেক বিল্লাহ লিখেছেন, ‘বারবার হত্যার ভিডিওটা সামনে আসে কিন্তু ভিডিওটা দেখা শেষ করার সাহস হয় না।’
প্রযুক্তিবিদ লিংকন মাহমুদ লিখেছেন, ‘যারা এ হত্যার পক্ষে ঘুরিয়ে পেচিয়ে বলেন, তারা কি ভিডিওটা দেখেছেন? তাহলে তারাও অমানুষ বরং পশুর থেকেও খারাপ।’
বিশ্ব পর্যটক এলিজা বিনতে এলাহী লিখেছেন, ‘আমরা নব্য আইয়ামে জাহেলিয়াত-এর বাসিন্দা।’
বিজ্ঞাপন
মো. রাসেদুল ইসলাম লিখেছেন, ‘সোহাগকে পিটিয়ে হত্যা। বিএনপি বলছে বিচ্ছিন্ন ঘটনা। সোহাগ কিন্তু একই দলের কর্মী ছিল।’
লেখক ও সাংবাদিক মানিক মুনতাছির লিখেছেন, ‘জি এই বর্বর জানোয়ারদের কাছেই মানুষ নিষ্পেষিত। অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে যদি একজনও দায়িত্বশীল থাকেন মিটফোর্ডের ঘটনার বিবৃতি দিন। অপরাধীদের ফাঁসিতে ঝুলান।’
এসইউ/এমএস
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন