ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

রাজপথে হ্যাজাক লাইট কুপির বাতির ঝলকানি

প্রকাশিত: ০৪:৩৮ পিএম, ২২ মে ২০১৬

এক সময় অন্ধকার দূর করতে গ্রামেগঞ্জে হ্যাজাক লাইট আর কেরোসিন জ্বলা সলতে কুপির বাতিই ছিল ভরসা। কালের আবর্তনে হ্যাজাক লাইট আর কুপির বাতি জাদুঘরে রাখার বস্তুতে পরিণত হয়েছে! একেবারে যে নিভৃত পল্লী সেখানেই এখন বিদ্যুত পৌঁছে গেছে। আর শহরে হ্যাজাক লাইট আর কুপির বাতির নাম শুনলে আধুনিক ছেলেমেয়েরা ঠোঁট উল্টে হয়তো বলে উঠতেই পারে, এ দুটি আবার কি?

Light

হঠাৎ করেই পবিত্র শবে বরাতের রাতে রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র নিউমার্কেটের অদূরে আজিমপুর পুরাতন কবরস্থান সংলগ্ন রাস্তায় দেখা মিললো হ্যাজাক লাইট ও কুপির বাতির ঝলকানি। শবে বরাতের রাতে বিত্তবানদের কাছ থেকে দান দক্ষিণা পেতে নিউমার্কেটের দক্ষিণ পাশে পার্টি হাউজ সংলগ্ন কবরস্থানের সীমানা দেয়াল থেকে বিজিবি ৩ নম্বর গেট পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশেই ভিক্ষুকদের বসে থাকতে দেখা যায়। রাস্তার আলো পর্যাপ্ত না হওয়ায় ভিক্ষুকদের কেউ কেউ হ্যাজাক লাইট জেলে বাসনে ভিক্ষার পাত্র নিয়ে বসে। তবে গোটা রাস্তা জুড়েই কেরোসিন তেলে জ্বলা সলতে ওয়াল কুপির বাতি জ্বলতে দেখা যায়।

রুস্তম আলী। বয়স ৫০ কিংবা ৫৫ হতে পারে। পাশে ১০ বছরের নাতিকে নিয়ে আজিমপুর পুরাতন গেটের কাছে বসে ভিক্ষা করছিল। তিনি জানান, আজ রোববার সকালে জামালপুর থেকে নাতিকে নিয়ে ঢাকায় এসেছেন। প্রতি বছর শবে বরাতের দিন সকালে এসে পরদিন বাড়ি চলে যান। একদিনে আয় রোজগার কম করে হলেও দুই থেকে আড়াই হাজার টাকার কম হয় না। রুস্তম আলী বলেন, এদিন মানুষের দানের হাত বড় হইয়া যায়।

Light-4

বিজিবি ৩ নম্বর গেটের সামনের রাস্তার দক্ষিণ দিকে এক সঙ্গ দাঁড়িয়ে ছিল তিনজন অন্ধ ভিক্ষুক। তারা দেরি করে আসায় মূল গেটের সামনে জায়গা পায়নি। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তাদের একজন বলেন, আজকের দিনে ভাল মাইনেসেরাও ভিক্ষা করতে নাইম্যা গেছে।

শবে বরাতের রাতে আজিমপুর কবরস্থানের দক্ষিণ ও উত্তর পাশের গেট সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেয়া হয়। এদিন রাতে স্বজনদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে মানুষজনকে দোয়া দরুদ পড়তে দেখা যায়। গেটে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম ও স্থানীয় আইয়ুব আলী কলোনি মসজিদের মাইক থেকে এক টাকা দান করলে ৮০ টাকার সওয়াব পাওয়া যাবে এমন শব্দ ভেসে আসে।

Light-5

রাত যত বাড়তে থাকে মানুষের সমাগম বাড়তে থাকে। গুরুগম্ভীর পরিবেশে হ্যাজিক লাইট ও কুপির বাতির নিচে চেনা মানুষগুলোকে কেমন অচেনা মনে হয়।

এমইউ/জেএইচ