ভিডিও EN
  1. Home/
  2. বিশেষ প্রতিবেদন

বিক্রি শেষ পর্যায়ে, চলছে টাকা তোলার হিড়িক

প্রকাশিত: ০৯:৩৫ এএম, ১২ জুন ২০১৭

দেশে তৈরি পোশাকের বৃহত্তর পাইকারি বাজার হিসেবে খ্যাত ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাইকারদের কাছে দিন দিন এখানে তৈরি পোশাকের কদর বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের গুদারাঘাটে তৈরি ছোটদের পোশাক রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড, বসুন্ধরা, নিউমার্কেট, মালিবাগ টুইন টাওয়ার, বিভিন্ন সুপার মার্কেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে। সারাদেশে নবজাতক থেকে শুরু করে ১৪ বছর পর্যন্ত শিশু-কিশোরদের প্রায় ৮০ ভাগ বস্ত্র এখানকার বাজার থেকে সরবরাহ হয়।

তবে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ছোটদের পোশাকের বিক্রি কমে গেছে। বিক্রেতারা জানান, ১০ রমজানের পর পাইকারি দোকানগুলোতে বিক্রি খুবই কম। ঈদ মৌসুমের বিক্রি এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

গুদারাঘাটের বৃহত্তর পাইকারি বাজারের আলম টাওয়ার মার্কেটে গতকাল রোববার সরেজমিনে পরিদর্শন এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

মার্কেটের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, এখানে নবজাতক থেকে শুরু করে ১৪ বছরের শিশুদের হরেকরকম বর্ণিল পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। মেয়েদের জন্য জর্জেট ও সুতির ফ্রক, স্কার্ট, লেহেঙ্গা, কুর্তি ও থ্রি-পিস রয়েছে। এসব পোশাকের প্রতি লট (একই সাইজের সর্বনিম্ন তিন পিস) ৩০০ থেকে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ছেলেদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন ধরনের গেঞ্জি, হাফপ্যান্ট ও পাঞ্জাবি-কোটি সেট। এসব পোশাকের প্রতি লট ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে পোশাকের সংখ্যা বিবেচনায় দাম কমতে বা বাড়তে পারে।

মার্কেটে সোহাগ ফ্যাশনস’র স্বত্বাধিকারী মো. সোহাগ জাগো নিউজকে বলেন, শবে বরাত থেকে ১০ রমজান পর্যন্ত চলে আমাদের মূল বেচাকেনা। এখন আমরা দেশের বিভিন্ন স্থানে টাকা কালেকশনের জন্য যাব। ঈদের আগ পর্যন্ত এটি চলবে।

Jama

তিনি আরও বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর পোশাক অনেক কম বিক্রি হয়েছে। টাকার অঙ্কে এখন এটি বলা সম্ভব না হলেও গতবারের তুলনায় এবার ২৫ ভাগ মাল দোকানেই রয়ে গেছে। এছাড়া যে সব মাল বিক্রি হয়েছে তার সিংহভাগই বাকি গেছে। সব টাকা তোলার পর বলা যাবে এবার কত টাকার বেচাবিক্রি হয়েছে।

কেরানীগঞ্জের আলম টাওয়ার মার্কেটের মতো জেলা পরিষদ মার্কেট ও বাবুল-ঢালি মার্কেটও ক্রেতাশূন্য দেখা গেছে। এ বিষয়ে ‘পূর্ণতা ফ্যাশনস’র স্বত্বাধিকারী সাদাত মোহাম্মদ জাগো নিউজকে বলেন, এ বছর হঠাৎ টানা বর্ষণ ও বন্যার ফলে মানুষ অভাবে রয়েছে। হাতে টাকা না থাকায় প্রত্যন্ত জেলাগুলোর অনেক ক্ষু্দ্র ব্যবসায়ী এবার মার্কেট করতে আসেননি। তাই এবার ক্রেতা কম।

এদিকে মার্কেটগুলো ঘুরে দেশি পোশাকের পাশপাশি ভারতীয় বিভিন্ন পোশাকের হুবহু নকল ও নিম্নমানের পণ্য চোখে পড়ে। ব্যবসায়ীরা কয়েক মাস আগে ভারত থেকে ২-১টি স্যাম্পল এনে নিজেদের কারখানায় এসব তৈরি করেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।

এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল আজিজ শেখ জাগো নিউজকে বলেন, মার্কেটের কেউ বিদেশি ব্র্যান্ড নকল করেছে- এমন অভিযোগ আমাদের কাছে কেউ করেনি। ভারতীয় জামা হুবহু তৈরি করা হয় এটা ঠিক, তবে আমাদের এখানে তৈরি জামাগুলো উন্নত মানের।

এআর/আরএস/এমএআর/আরআইপি