ভিডিও EN
  1. Home/
  2. খেলাধুলা

আমার খেলার যা ধরন, সেটাই যেন টিম বাংলাদেশকে দিতে পারি: লিটন

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশিত: ০৮:৫২ পিএম, ১২ মে ২০২৫

নাজমুল হোসেন শান্ত নেতৃত্ব ছেড়ে দেয়ার পর তার কাঁধেই অধিনায়কত্বের গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। লিটন দাস এখন পূর্ণমেয়াদে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক টিম বাংলাদেশের।

অধিনায়কত্বে তার দক্ষতা নিয়ে তেমন কোনো প্রশ্ন নেই। জাতীয় দলের প্রধান সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দীন খোদ লিটনের দল পরিচালনা, কৌশল নির্ধারণ ক্ষমতার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন।

সমস্যা সেখানে নয়। সমালোচকদের চোখ লিটনের ব্যাটিংয়ের দিকে। কারণ, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে শেষ কয়েকটি ম্যাচে তার ব্যাট কথা বলেনি। একদমই রান করতে পারেননি। সর্বশেষ ৩ খেলায় লিটনের স্কোর ০, ৩ ও ১৪।

অফফর্মে থাকা লিটন কীভাবে অধিনায়কের দায়িত্ব পেলেন, সেই প্রশ্নও অনেক সমালোচকের। তবে লিটনের আশা, তিনি এই ফর্মহীনতা থেকে বের হয়ে আসতে পারবেন।

আজ সোমবার বিকেলে শেরে বাংলায় গণমাধ্যমের সাথে আলাপে জাতীয় দলের নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক বলেন, ‘সবশেষ মনে হয় আমি ইন্টারন্যাশনাল সিরিজ খেলেছি ডিসেম্বরে। হ্যাঁ, আমি একটা খারাপ সময় পার করছিলাম। যেখানে আমার ব্যাটে রান হচ্ছিল না। তারপর আমি বিপিএলে, ডিপিএলে চেষ্টা করেছি। একজন প্লেয়ার হিসেবে আমি এটুকুই বলতে পারি; যেকোনো প্লেয়ারই সর্বোচ্চ তার চেষ্টাটাই করতে পারে। কিছু কিছু সময় থাকে এমন যে, আপনি অনেক চেষ্টা করেও হয়তো রেজাল্ট পাবেন না।’

‘আবার অন্যদিক থেকে দেখতে গেলে কিন্তু এমনও হয়, ক্রিকেটার একটা সিরিজ, দুইটা সিরিজ খারাপ খেলে আবার কামব্যাক করে। আমিও ওই চেষ্টাটাই করবো। আমার যে খেলার ধরন, আমি যে ধরনের প্লেয়ার, সেটা যেন বাংলাদেশকে দিতে পারি। আমি পারফর্ম করলে বাংলাদেশ টিমেও এটা হেল্প হবে।’

জাতীয় দলের প্রধান সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দীন অধিনায়ক লিটনকে বেশ কৌশলী ক্যাপ্টেন বলে অভিহিত করেছেন। সে সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করতে বলা হলে লিটন বলেন, ‘স্যার যেহেতু বলছেন, হয়তো উনি অনেক কিছু ফাইন্ড আউট করেই জিনিসটা বলছে। আমি এত লং টাইম কখনো করি নাই (অধিনায়কত্ব)। পার্টিকুলার সিরিজ আমি করেছি, আমার জন্য এতটা ঝামেলার মনে হয়নি। যে দীর্ঘসময় ধরে করছে, তার জন্য জিনিসটা হতেও পারে। নিজের খেলা ও দায়িত্ব দুটো নিয়েই এগোতে হবে। আপনি সবসময় বাহবা পাবেন, তাও না। আপনাকে দুই জিনিসটাই ক্যারি করতে হবে।’

তিনি খারাপ খেলছিলেন। এখন অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর তার ফর্মটা কেমন হতে পারে? নেতৃত্বে তার রোলমডেলই বা কে? এমন প্রশ্নে লিটনের জবাব, ‘দেখেন, ক্যাপ্টেন্সি ছাড়াও তো আমি খারাপ খেলেছি। এখন অধিনায়ক হয়ে আসতেছি। এটাও অপজিট সাইডও হতে পারে যে, আসার পর থেকে আমি ভালো খেলতেও পারি। আমি যেটা বললাম, পজেটিভ-নেগেটিভ দুইটা জিনিসই থাকবে। ওভাবে রোল মডেল কেউ নেই।’

অধিনায়ক হিসেবে তিনি কী চান, তার পছন্দ কী বা তার ভূমিকাই কেমন হবে?এ মুহূর্তে এসব নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে নারাজ লিটন।

তার কথা, ‘এই মুহূর্তে আমি কী চাই, আমার কী পছন্দ। এসব নিয়ে ভাবছি না। এটলিস্ট আমার টি-টোয়েন্টি সংস্করণে আমি এই জিনিসটা দেখতে চাই না। আমি চাই টিম যেখানে যাকে বলবে, সে যেন সেখানে খেলতে প্রস্তুত হয়। অবশ্যই এমন কোনো দিন আসবে না, আমি সাতে গিয়ে ব্যাটিং করতেছি। তাহলে বাংলাদেশ দল আমার কাছ থেকে কিছু পাবে না। আমার কাছ থেকে যেটা পাবে, সেই জিনিসটাই বাংলাদেশ টিম আমাকে দেবে। আমিও সেই জিনিসটা দেওয়ার চেষ্টা করবো।’

এআরবি/এমএমআর/এমএস